ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের রাজধানী শহরের উপকণ্ঠে যিশুখ্রিস্টের একটি মূর্তি সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় কালেক্টর পুলিশ এনে প্রশাসনের নজরদারিতে ওই মূর্তি সরিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে কাঠগড়ায় রাজ্যের বিজেপি সরকার।
আজ বিষয়টি উল্লেখ করে কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারের টুইট, ‘‘আমি নিজে নিরীশ্বরবাদী। কিন্তু কর্নাটক সরকারের নির্দেশে পুলিশ যে ভাবে যিশুর মূর্তি সরিয়ে দিল বেঙ্গালুরুতে, তাতে ভারতীয় হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।’’
সরব হয়েছে বেঙ্গালুরুর খ্রিস্টান সমাজও। বেঙ্গালুরুর আর্চবিশপ রেভারেন্ড পিটার মাশাদো বলেন, ‘‘এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। অবিলম্বে মূর্তি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’ আর্চডায়োসেস-এর মুখপাত্র জে এ কণ্ঠরাজ দাবি করেন, যে জমিতে মূর্তিটি ছিল, সেটি সরকারই খ্রিস্টান কবরস্থানের জন্য চিহ্নিত করে। তবে কেন সরল মূর্তি? কণ্ঠরাজের অভিযোগ, কালেক্টর অজিত কুমার রাই ১৫ দিন আগে অভিযোগ তোলেন, এলাকায় বলপূর্বক ধর্মান্তর করানো হচ্ছে। যেটা একেবারেই সত্যি নয় বলে কণ্ঠরাজের দাবি। ‘‘কী ঘটেছে না ঘটেছে, তার তদন্ত হোক, কোনও গোষ্ঠীর কথায় চালিত হওয়ার প্রয়োজন নেই’’— বলছেন তিনি। ইতিমধ্যে ‘‘দু’দিন আগে কালেক্টর পুলিশ এনে কোনও রকম লিখিত বা মৌখিক বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই মূর্তিটি সরিয়ে দিয়েছেন।’’ আর্চডায়োসেস-এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সরকারি সম্মান ফিরিয়ে দাবি নিয়ে সরব লিসি