ছবি: সংগৃহীত।
ভারতকে বাদ দিয়ে রবিবারই চিন-সহ ১৫টি দেশ অবাধ বাণিজ্য যুক্তি (আরসিইপি) সই করেছে। এই চুক্তিতে যোগ না দেওয়ার জন্য এ বার ভারতকে খোঁচা দিল চিন। বেজিংয়ের বক্তব্য, আরসিইপি-র মতো বিশ্বের বৃহত্তম অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে সই না করা ভারতের কৌশলগত ভুল। অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ হাতছাড়া করল ভারত।
চিনের এই খোঁচা সত্ত্বেও দর কষাকষি থেকে সরে আসার পিছনে সঙ্ঘ পরিবারের অর্থনৈতিক সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের বড় ভূমিকা ছিল। মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের বক্তব্য, আরসিইপি থেকে বেরিয়ে এসে, তার পর আত্মনির্ভর ভারতের নীতিকে মূলমন্ত্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশীয় কারখানা, ডেয়ারি ও কৃষি ক্ষেত্রের স্বার্থ রক্ষার কাজই করেছেন।
সঙ্ঘ পরিবারের যুক্তি ছিল, আরসিইপি-তে যোগ দিলে ভারতের কৃষি ও ডেয়ারি শিল্প বিপদের মুখে পড়বে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ সস্তায় তাদের ডেয়ারি পণ্য ভারতে পাঠাবে। এই গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলির অবশ্য এখনও আশা, আগামী দিনে ভারত চুক্তিতে সই করবে। কারণ, এই চুক্তিবদ্ধ দেশগুলিতে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস করেন। তাদের মধ্যে বাণিজ্য অবাধ হলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতিও দ্রুত চাঙ্গা হবে। মোদী সরকারের অন্দরমহলের ইঙ্গিত, নয়াদিল্লি আপাতত পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থেকেই এর গতিপ্রকৃতি বিচার করবে।