অমিত শাহের অরুণাচল সফর নিয়ে কূটনৈতিক প্রতিবাদ চিনের। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে আপত্তি জানাল চিন। বেজিংয়ের তরফে সোমবার নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, টানাপড়েনের মধ্যে ভারত যেন সীমান্ত পরিস্থিতিকে অযথা জটিল না করে তোলে।
সোমবার দু’দিনের অরুণাচল সফরে যাচ্ছেন শাহ। সেখানে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া গ্রামগুলি পরিদর্শন করবেন তিনি। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকা কিবিথুতে কেন্দ্রের ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ চালু করার কথা তাঁর। শাহের সফরের বিরোধিতা করে চিনা বিদেশ দফতরের বিবৃতি, ‘‘এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’’
অরুণাচল নিয়ে সাম্প্রতিক টানাপড়েনের আবহে বেজিংয়ের এই প্রতিবাদ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সোমবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে জানায়, সে দেশের স্বরাষ্ট্র দফতর অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫টি পর্বতশৃঙ্গ, ২টি মালভূমি অঞ্চল, ২টি আবাসিক এলাকা এবং ২টি নদী। এর পরেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চিনা পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করা হয়েছিল।
অরুণাচলের ১১টি স্থানের নাম বদলের চিনা তৎপরতার প্রতিবাদ করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছিলেন, ‘‘অরুণাচলের যে ১১টি অঞ্চলের নাম বদলের কথা বলা হচ্ছে সেগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ।’’ কিন্তু পাল্টা বেজিং দাবি করে ওই এলাকাগুলি তাদের। বেজিং সব সময়েই এই এলাকাকে দক্ষিণ তিব্বত হিসাবে দাবি জানিয়ে এসেছে। অতীতে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা, রাষ্ট্রপতি (বর্তমানে প্রাক্তন) রামনাথ কোবিন্দ এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অরুণাচল সফর নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে চিন।