Amar Preet Singh

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের পরিকাঠামো, তৈরি ভারতও, দাবি

২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা। দু’পক্ষেই বেশ কয়েক জন হতাহত হন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতীয় সীমায় প্রবেশ করেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

ভারতীয় বায়ুসেনার নতুন প্রধান অমরপ্রীত সিংহ। —ফাইল ছবি।

লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে একের পর এক সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বলে জানালেন ভারতীয় বায়ুসেনার নতুন প্রধান অমরপ্রীত সিংহ। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতও বসে নেই। তারাও নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক পরিকাঠামো উন্নত করা শুরু করেছে। চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাদের সামরিক পরিকাঠামো গড়ার কাজ চালিয়ে গেলে ভারতও সেই ভাবেই তৈরি থাকবে বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা-প্রধান। ভারত যে কোনও ভাবেই পিছিয়ে নেই, তা এ দিন স্পষ্ট করে দেন বায়ুসেনা-প্রধান।

Advertisement

২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা। দু’পক্ষেই বেশ কয়েক জন হতাহত হন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতীয় সীমায় প্রবেশ করেনি। যদিও ভারতীয় সেনার একাধিক পেট্রোলিং পোস্ট চিনের কব্জায় বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দু’দেশের মধ্যে ২০২০ সালের জুনের আগের অবস্থায় ফেরা নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। যদিও তার পরেও বেশ কিছু এলাকা থেকে চিনা সেনা এখনও পিছু হটেনি। অভিযোগ, চিন ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে এবং সেখানে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। যা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের। পাশাপাশি অরুণাচলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিন একাধিক সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বলে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু মোদী সরকার কখনওই বিষয়টি স্বীকার করে এ নিয়ে মুখ খোলেনি।

এ বারে পরোক্ষে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে খোদ বায়ুসেনার প্রধান নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বায়ুসেনার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অমরপ্রীত। আগামী ৮ অক্টোবর বায়ুসেনা দিবস। তার আগে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বিষয়টি জানান। চিনা পরিকাঠামো নিয়ে ভারত যে বসে নেই, তা বোঝানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে কোনও রকম নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দেশের তৈরি অস্ত্রভান্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে দেশের তৈরি সমস্ত যুদ্ধাস্ত্র থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের তিনটি ইউনিট ভারতে এসে গিয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরও দুই ইউনিট এস-৪০০ পাঠাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। সেগুলো হাতে এলে বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement