চার ধাম প্রকল্প। ফাইল চিত্র।
চারধাম যাত্রা প্রকল্পে উত্তরাখণ্ডে রাস্তা চওড়া করা যাবে কি না তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইল কেন্দ্র। চারধাম জাতীয় সড়ক প্রকল্প যা গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথ— এই চার জায়গাকে সংযুক্ত করবে ৮৯৯ কিমি রাস্তা। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই এখানে রাস্তা চওড়া করা যাবে না, এমন আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
ওই এলাকায় ১০ মিটার রাস্তা চওড়া করতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু এর আগে আদালত জানিয়েছিল ৫ মিটারের বেশি চওড়া করা যাবে না রাস্তা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, হামেশাই ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে উত্তরাখণ্ডে। বন্যপ্রাণ অধ্যুষিত এলাকায় গাছ কেটে ফেলায় পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা চও়ড়়া করতে গেলে অনেক গাছ কাটা পড়বে যার খারাপ প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। তখন কেন্দ্র জানায়, রণকৌশলগত ভাবে এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে আছে। অপর প্রান্তে সীমান্তের একদম কাছে চিন হেলিপ্যাড তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে। নানা রকম নির্মাণকাজ এবং রাস্তা বানাচ্ছে যাতে দ্রুত সমরাস্ত্র পৌঁছনো যায়। ফলে নিরাপত্তাজনিত একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর এই নিরাপত্তার খাতিরেই রাস্তা চওড়া করা প্রয়োজন।
মামলাকারীর আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস তখন উত্তরাখণ্ডের ভূমিধসের প্রসঙ্গটি তুলে ধরে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ২০১৩-তে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল তার পরই ২৪টি প্রকল্পের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। আদালত তখন জানায়, দেশের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় অনেক ঘটনা ঘটছে। ১৯৬২-র মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক দেশ এটা কখনওই কাম্য নয়। তবে দেশের নিরাপত্তাও যেমন গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার দিকটাও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।