ফাইল ছবি
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা হল চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। ফোনালাপের পর জয়শঙ্কর টুইট করেন, মস্কো চুক্তি রূপায়ণ এবং সেনা সরানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর বৈঠকের ফাঁকে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি রক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের পুরোটাই ভারতকে সীমান্তে হিমসিম খেতে হয়েছে চিনকে নিয়ে। নতুন বছরে আপাতত চিনা সেনাকে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পিছু হঠানোর কাজ শুরু করা গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ঘরোয়া রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠছে, চিনের সঙ্গে এত বৈরিতার পরেও ভারতের বাণিজ্যিক নির্ভরতা তাদের সঙ্গে বেড়েছে বই কমেনি। আত্মনির্ভরতার স্লোগান কি তা হলে মুখ থুবড়ে পড়ল? আজ রাহুল গাঁধী টুইট করে বলেছেন, ‘চিন এটা বুঝে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাপের মুখে নতি স্বীকার করেন। তারা জানে চিনের যা প্রয়োজন তা মোদীর কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে।’
লাদাখ ছাড়াও সিকিম এবং অরুণাচলপ্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে চিনা সামরিক পরিকাঠামো তৈরির খবর নতুন করে অস্বস্তি তৈরি করেছে সাউথ ব্লকে। সেনা সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের সুবনসিরি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে তিনটি নতুন সেতু তৈরি করেছে বেজিং। এ ছাড়া, ৬৬ কিলোমিটার রাস্তা-সহ আরও কিছু সামরিক পরিকাঠামো তৈরির খবর রয়েছে। এ দিকে, প্যাংগং হ্রদের থেকে সেনা সরানোর পর লাদাখের দেপসাং, হট স্প্রিং ও গোগরা অঞ্চলেও সেনা সরানোর কাজ শুরু হবে বলে শনিবার এক বৈঠকে একমত হয়েছে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনী।