এই প্রথম নয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ভারতের দশটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে চিনের সাইবার হানা চালানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। তার আগেও ২০২০-র অক্টোবরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা মুম্বই।
গত বছরের অগস্ট থেকে ২০২২-এর মার্চের মধ্যে এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি। প্রতীকী ছবি।
সামীন্তে এ বার সাইবার ‘যুদ্ধ’ শুরু করল চিন। বেসরকারি এক গোয়েন্দা সংস্থা রেকর্ডেড ফিউচার বুধবার দাবি করেছে, গত আট মাস ধরে লাদাখের কাছাকাছি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে সাইবার হানা চালিয়েছে চিনের সরকার নিযুক্ত হ্যাকাররা!
ওই বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, উত্তর ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারস (এসএলডিসি)-এর অন্ততপক্ষে সাতটি কেন্দ্রে চিনা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে গত বছরের অগস্ট থেকে ২০২২-এর মার্চ, এই সময়ের মধ্যে। লক্ষ্যণীয়, সীমান্তে ভারত-চিন সঙ্ঘাতকে মাথায় রেখেই উত্তর ভারতের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকেই নিশানা বানিয়েছে হ্যাকাররা। এমনই দাবি এসএলডিসি-র।
ফিউচার রেকর্ডেড জানিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে নিশানা বানিয়ে পাওয়ার গ্রিডগুলিকে অকেজো করে দেওয়াই ছিল হ্যাকারদের লক্ষ্য। শুধু পাওয়ার গ্রিডই নয়, ভারতের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম, বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থাতেও চিনা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ এবং গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে সরকারকে সতর্কও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। তাদের দাবি, ভারতের পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য চিনা হ্যাকারদের, যাতে ভবিষ্যতে হামলা চালাতে এই তথ্যগুলিকে কাজে লাগানো যায়।
এই প্রথম নয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ভারতের দশটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে চিনের সাইবার হানা চালানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। তার আগেও ২০২০-র অক্টোবরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা মুম্বই। পাওয়ার গ্রিড বসে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল বলে সেই সময় দাবি করা হলেও, পরবর্তী কালে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চিনা সাইবার হানার কারণেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল মুম্বই।