শিশুমৃত্যু বেড়ে ১৫৩, পরিষেবা নিয়ে নালিশ

শিশুমৃত্যু কাণ্ডে বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে কার্যত আত্মগোপন করে আছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পটনা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা।—ছবি পিটিআই।

মুজফ্ফরপুরে আজ আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫৩। তার মধ্যে মুজফ্ফরপুর জেলারই ১১৯ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কিছুটা হলেও কমছে। এর মধ্যেই মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।

Advertisement

এ দিনই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিহারে আসার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি পি ঠাকুর। মৃতের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আবেদনও তিনি করেন। শিশুমৃত্যু কাণ্ডে বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে কার্যত আত্মগোপন করে আছেন তিনি। যদিও এ দিন আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, “তেজস্বী দিল্লিতে। বিহারের পরিস্থিতির উপরে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, শিশুমৃত্যুর ঘটনায় নীতীশ সরকারকে ছাড় দিয়েছে বিরোধীরা। তবে এ দিন আরজেডির রাজ্যসভা সাংসদ মিশা ভারতী বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোজে যোগ দিতে পারি। আমার দলেরও একই অবস্থান।” রাজনৈতিক টানাপড়েন চললেও মুজফ্ফরপুরের হাসপাতালগুলির চেহারা পাল্টায়নি। পরিজনদের ক্ষোভ, হাসপাতালের পাখা কাজ করছে না। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরে ২৫০০ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে। এমনকি মৃত শিশুর নাকের নথও চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। রোগীর পরিজনদের ওষুধ থেকে অক্সিজেনের সিলিন্ডার, সবই কিনে আনতে হচ্ছে। বাচ্চার মৃত্যুর পরেও ফি নেওয়া হচ্ছে। জলের অভাবও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে।

মুজফ্‌ফরপুর-সহ সংলগ্ন এলাকায় শিশু-মৃত্যু রুখতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে অসুস্থদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। দেশের জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করে কেন্দ্র ও সমস্ত রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মুজফ্ফরপুরের ঘটনার উল্লেখ করে তারা বলেছে, আগামী কয়েক দিনে কমিশনের চিকিৎসক-সহ বিশেষ দল বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement