Chhattisgarh Man Killed Woman

টাকা নিয়ে বিবাদ! শ্বাসরোধ করে যুবতীকে খুন, দেহ চার দিন গাড়িতে রেখে আটক অভিযুক্ত

শনিবার গভীর রাতে কস্তুরবা নগর এলাকা থেকে ওই গাড়িতে প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কিছু মানুষ ওই গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১০:১৮
Share:

নিহত মহিলার নাম প্রিয়ঙ্কা সিংহ (২৪)। প্রতীকী ছবি।

টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। খুনের পর নিহতের দেহ চার দিন ধরে গাড়িতে রেখে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর শহরের ঘটনা। নিহত মহিলার নাম প্রিয়ঙ্কা সিংহ (২৪)। অভিযুক্ত আশিস সাহুকে পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে। অভিযুক্ত পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রিয়াঙ্কাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের গাড়ি থেকে প্রিয়ঙ্কার দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতী ভিলাইয়ের বাসিন্দা। তিনি বিলাসপুরের দয়ালবন্দ এলাকায় থাকতেন এবং ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)’ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানেই ওষুধ দোকানের মালিক আশিসের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।

অভিযোগ, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্ব জমিয়ে তাঁকে শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য লোভ দেখান আশিস। প্রাথমিকভাবে শেয়ার বাজার থেকে প্রিয়ঙ্কা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাভ করলেও শীঘ্রই তিনি শেয়ার বাজারে ১১ লক্ষ টাকা খোয়ান।

Advertisement

গত মঙ্গলবার আশিসের ওষুধ দোকানে পৌঁছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা। অভিযোগ, টাকা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা চলতে চলতেই প্রিয়ঙ্কার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করেন আশিস।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আশিস প্রথমে প্রিয়ঙ্কার দেহ দোকানে রাখলেও এক দিন পর সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এর পর আশিস গাড়ি করে প্রিয়ঙ্কার মৃতদেহ নিজের বাড়ির এলাকায় নিয়ে যান এবং সেখানে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় গাড়িটি রেখে দেন।

শনিবার গভীর রাতে কস্তুরবা নগর এলাকা থেকে ওই গাড়িতে প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কিছু মানুষ ওই গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এর পর পুলিশ এসে গাড়ির দরজা ভেঙে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

ইতিমধ্যেই কয়েক দিন পরে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কার মৃতদেহ পাওয়ার পর তাঁদের ডেকে পাঠানো হলে তাঁরা সেই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। খুনের মামলা রুজু করে তদন্তেও নামে পুলিশ।

এর পর প্রিয়ঙ্কার মোবাইল ঘেঁটে পুলিশ অভিযুক্ত আশিসকে আটক করে। পুলিশি জেরার মুখে আশিস স্বীকার করে নেন যে, টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে তিনি প্রিয়ঙ্কাকে খুন করেন। এর পরই আশিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেয়ার বাজারের নামে প্রিয়ঙ্কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আশিস সেই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করতেন তা নিয়েও বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement