বিষমদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিহারের আরজেডি মন্ত্রীর। ফাইল চিত্র।
খেলাধুলো করলে শারীরিক সক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটাই। আর তখন বিষমদ পান করলেও তা ‘হজম’ করে নেওয়া সম্ভব হয়! ছপরার বিষমদে ৪০ জনের মৃত্যুর জেরে বিহার জুড়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্কের আবহে এমন মন্তব্য নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার সদস্য সমীর মহাশেঠের!
বিহারের শিল্পমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা সমীর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘শরীরের সহ্যশক্তি বাড়াতে পারলে বিষমদকেও সহনশীল করে তোলা যায়! আমরা খেলাধুলোর মাধ্যমে সেই শক্তি অর্জন করতে পারি।’’ তবে সেই সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে ভাল হয়, যদি মদ্যপানের অভ্যাস পুরোপুরি ছাড়া যায়। এখানে যে মদ আসে, তা আসলে বিষ।’’
২০১৬ সালের এপ্রিলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন। সে সময় বিজেপির সহযোগী ছিলেন তিনি। কাগজে-কলমে বিহারে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কয়েক বছরে একাধিক বার বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারে। ছপরা-কাণ্ডের পর বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার সিংহ বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘ শাসক শিবিরের একাংশের মদতে রাজ্য জুড়ে বেআইনি মদের কারবার চলছে। তাই বেতিয়া, গোপালগঞ্জ, নালন্দার মতো জেলায় ধারাবাহিক ভাবে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ সারণ জেলার ছপরা।’’
বিজয়-সহ বিজেপি বিধায়কেরা প্রশ্ন তোলেন, বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার পরেও কী ভাবে বার বার বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে? এর পরেই বিধানসভায় মেজাজ হারাতে দেখা যায় নীতীশকে। বৃহস্পতিবার মদ্যপায়ীদের উদ্দেশে নীতীশের সতর্কবাণী, ‘‘মদ খেলেই মরতে হবে।’’