Noida

Demolition of Noida Twin Tower: হাউহাউ করে কেঁদে ফেললাম! আঙুলের চাপে নয়ডার যমজ অট্টালিকা ধসিয়ে বলছেন চেতন দত্ত

চেতন বলেন, ‘‘বোতামে চাপ দেওয়ার পর আমি আস্তে আস্তে মাথা তুলি। দেখি যমজ অট্টালিকা ধসে পড়ছে। আমরা মাত্র ৭০ মিটার দূরে ছিলাম।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়ডা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ১৯:৫৯
Share:

চেতন দত্ত বোতামে চাপ দেওয়ার পরই হুড়মুড় করে ধসে পড়ে যমজ অট্টালিকা। ছবি— পিটিআই।

তাঁর আঙুলের চাপেই মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইতিহাসের পাতায় চলে গিয়েছে নয়ডার বেআইনি যমজ অট্টালিকা। সেই চেতন দত্ত বলছেন, ‘‘অপারেশন ১০০ শতাংশ সফল!’’ একই সঙ্গে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কেঁদে ফেলেছেন হাউহাউ করে।

Advertisement

চেতনের সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন। মূলত এই পাঁচ জন মিলেই শেষ মুহূর্তে বোতাম টিপে গোটা বিষয়টিকে চূড়ান্ত পরিণতি দিয়েছেন। চেতন জানিয়েছেন, সকলেই রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় চোখ রেখেছিলেন স্টপওয়াচের দিকে। মোক্ষম মুহূর্তে বোতামে চাপ দেন চেতন। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে যমজ অট্টালিকা।

চেতন বলেন, ‘‘বোতাম টেপার পর গোটা ব্যাপারটি ঘটতে সময় লেগেছে নয় থেকে ১০ সেকেন্ড। আমার সঙ্গে মোট ১০ জন ছিলেন। তার মধ্যে সাত জন বিদেশি বিশেষজ্ঞ।’’

Advertisement

ঘটনার সময় কেউ কারও সঙ্গে একটি কথাও বলেননি, জানিয়েছেন চেতন। তিনি বলেন, ‘‘বোতামে চাপ দেওয়ার পর আমি আস্তে আস্তে মাথা তুলি। দেখি যমজ অট্টালিকা ধসে পড়ছে। আমরা মাত্র ৭০ মিটার দূরে ছিলাম। সবকিছু যখন শেষ, আমি আমার দলকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেখানে পৌঁছই। ধুলো সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারিনি আমরা। সেখানে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। সকলেই কেঁদে ফেলি। একটা বিরাট দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করার পর আবেগ ধরে রাখা খুবই কঠিন।’’

যমজ অট্টালিকা ভাঙার জন্য আশপাশের সমস্ত আবাসনের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছিল। নয়ডা কর্তৃপক্ষের সিইও রীতু মাহেশ্বরী জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আবার তাঁদের বাড়িতে ফেরানো শুরু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবহার হচ্ছে ট্রাক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement