প্রতীকী ছবি।
ওড়ার অব্যবহিত পরে বা অবতরণের সময়ে যাত্রীরা ওয়াইফাই ব্যবহার করায় বিমানের যোগাযোগ ও নেভিগেশন ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়ছে। তাতে বড়সড় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে। তাই আকাশে বিমানের ভিতরে যাত্রীদের ওয়াইফাই ব্যবহারের নিয়মবিধি বদলে ফেলছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। নতুন ব্যবস্থায় বিমান মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে ওঠা পর্যন্ত এবং নামার সময়ে ১০ হাজার ফুট থেকে মাটি ছোঁয়া পর্যন্ত ভিতরে কোনও ভাবেই ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে না।
দেশের অভ্যন্তরে স্পাইসজেট, ইন্ডিগো ও বিস্তারার বিমানে যাত্রীরা ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা পান। সব উড়ান সংস্থার কাছে ডিজিসিএ নির্দেশ পাঠাচ্ছে যে, বিমান ছাড়ার সময়ে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলতে হবে। ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে বিমান ১০ হাজার ফুট উপরে ওঠার পরে। বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র যুক্তি, ‘টেক-অফ’ বা ওড়া এবং ‘ল্যান্ডিং’ বা নামার মুহূর্তে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় সামলাতে হয় পাইলটকে। সেই সময়ে বাহ্যিক কোনও কারণে ত্রুটি দেখা দিলে মুশকিল। আকাশে উঠে যাওয়ার পরে বিমান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
ভারতের আকাশে ওয়াইফাই করে যাত্রীরা হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন করতে পারেন না। সেই ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে ডিজিসিএ-র। অনেক দেশে অবশ্য যাত্রীরা মাঝ আকাশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে এবং ফোন ব্যবহার করতে পারেন।
ভারতের ক্ষেত্রে যে-ওয়াইফাইয়ের কথা বলা হচ্ছে, তা বিমানের ভিতরের বিনোদন ব্যবস্থার সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। যাত্রী শুধু নিজের মোবাইল বা ল্যাপটপে উড়ান সংস্থার নিজস্ব বিনোদন ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারেন। তবে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না।
ডিজিসিএ-র এক কর্তা জানান, সম্প্রতি একটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, বিমান মাটি থেকে ৪০০ ফুট উপরে ওঠার পরে পাইলট স্বয়ংক্রিয় (অটো-পাইলট) ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। সন্দেহ হওয়ায় যাত্রীদের কেউ ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন কি না, বিমানসেবিকাদের তা দেখতে বলেন তিনি। দেখা যায়, তিন নম্বর সারিতে বসে এক যাত্রী ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন। তাঁকে তা বন্ধ করতে বলার পরে বিমানের গোলযোগ মিটে যায়। এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার কথা জানতে পেরেই নিয়ম বদলের নির্দেশ জারি করতে চলেছে ডিজিসিএ।