Chandrababu Naidu

পরিত্যক্ত অমরাবতীই হতে চলেছে অন্ধ্রের রাজধানী, এনডিএ-র পরিষদীয় নেতা হয়েই ঘোষণা চন্দ্রবাবুর

মঙ্গলবারই সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ-র পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন চন্দ্রবাবু। দলনেতা হিসাবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন এনডিএ-র আর এক শরিক দল জনসেনার নেতা পবন কল্যাণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ ১৬:০২
Share:

চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র

পরিত্যক্ত অমরাবতীই আগামী দিনে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হতে চলেছে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগের দিন আরও এক বার তা জানিয়ে দিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। মঙ্গলবার চন্দ্রবাবু বলেন, “আমাদের রাজ্যের রাজধানী হতে চলেছে অমরাবতী। আমাদের লক্ষ্য হল গোটা রাজ্যের উন্নতি করা, কেবল কিছু জায়গার উন্নতি করা নয়।”

Advertisement

মঙ্গলবারই সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ-র পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন চন্দ্রবাবু। দলনেতা হিসাবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন এনডিএ-র আর এক শরিকদল জনসেনার নেতা, অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণ। তাঁর এই প্রস্তাব সমর্থন করেন অন্ধ্রের বিজেপি সভাপতি ডি পুরন্দেশ্বরী।

অন্ধ্রে লোকসভা নির্বাচন এবং একই সঙ্গে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারিয়ে দিয়েছে টিডিপি, জনসেনা এবং বিজেপির জোট। বুধবার অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন চন্দ্রবাবু। অবিভক্ত অন্ধ্রের রাজধানী ছিল হায়দরাবাদ। ২০১৪ সালে তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরি হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদই দুই রাজ্যের রাজধানী। ২০১৫ সালে অন্ধ্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু সে রাজ্যের বাণিজ্যিক রাজধানী বিজয়ওয়াড়ার ৪০ কিলোমিটার দূরে অমরাবতী শহরটিকে নতুন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার ‘মাস্টারপ্ল্যান’ ঘোষণা করেন। সে বছরই অমরাবতীকে অন্ধ্রের নয়া রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

কিন্তু ২০১৯ সালে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অমরাবতীকে রাজধানী শহর হিসাবে তৈরি করার যে প্রকল্প, তা স্থগিত করে দেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসে জগন। জগনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনসভা থাকবে অমরাবতীতে। প্রশাসনিক রাজধানী হবে বিশাখাপত্তনম, আর কুর্নুল হবে বিচারবিভাগীয় রাজধানী। জগন অভিযোগ করেন যে, অমরাবতী অন্ধ্রের নতুন রাজধানী হবে, সে কথা আগাম জেনে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি সেখানে জমি কিনে ফেলেছেন। জগন ওই জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগের ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেন। তাঁর আমলে অমরাবতীতে রাজধানী গড়ার প্রক্রিয়াও শ্লথ হয়ে যায়। পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে ফের অমরাবতী নিয়ে উদ্যোগী হলেন চন্দ্রবাবু। এই বিষয়ে জগনকে কটাক্ষ করে টিডিপি প্রধান বলেন, “যিনি বলেছিলেন বিশাখাপত্তনমকে প্রশাসনিক রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলবেন এবং ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেখানে শপথ নেবেন, তাঁকে মানুষ জবাব দিয়ে দিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement