সেই চন্দ্রবাবুর মুখেই এখন মোদী-ভজনা

বিরোধীদের একজোট করতেন, আর উঠতে-বসতে কড়া সমালোচনা করতেন নরেন্দ্র মোদীর। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব মেনে নিয়ে তাঁকে ‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবেও তুলে ধরেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৬
Share:

চন্দ্রবাবু নায়ডু।

লোকসভা ভোটের আগে ‘সূত্রধর’-এর ভূমিকায় ছিলেন তিনি। রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্ট্যালিন থেকে অরবিন্দ কেজরীবাল, অখিলেশ যাদব কিংবা মায়াবতী। সকলের কাছে গিয়ে গোটা বিরোধী শিবিরকে একজোট করার চেষ্টা করছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু।

Advertisement

বিরোধীদের একজোট করতেন, আর উঠতে-বসতে কড়া সমালোচনা করতেন নরেন্দ্র মোদীর। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব মেনে নিয়ে তাঁকে ‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবেও তুলে ধরেছিলেন। তিনশোর বেশি আসন নিয়ে মোদী ফের ক্ষমতায় এসেছেন, মাত্র পাঁচ মাস হল। সুর বদলাতে শুরু করেছেন চন্দ্রবাবু। কথায় কথায় এখন তিনি তারিফ করছেন মোদীর। এনডিএ ছাড়ার খেসারতও দলকে দিতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন জনতাকে।

বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, মোদী জমানায় বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তাঁদের দলের নেতাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রবাবুও তার শিকার। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। তেলুগু দেশমের একের পর এক সাংসদকেও ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাট তো এমনিতেই গিয়েছে। ভোটে হেরেছেন। এখন পায়ের তলায় জমিও খসতে শুরু করেছে। আর চন্দ্রবাবুর দুর্দিনে দক্ষিণে দাপট বাড়াতে চাইছে বিজেপি।

Advertisement

গত এপ্রিল মাসেও চন্দ্রবাবু বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী শুধু নিজের প্রচার ছাড়া কিছুই বোঝেন না।’’ অক্টোবরে বলছেন, ‘‘মোদীর বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। যা করেছি শুধু রাজ্যের স্বার্থের কথা ভেবেই। রাজ্যের জন্যই লড়েছি।’’ স্থানীয় সভায় চন্দ্রবাবু না কি এমনও বলেছেন, এনডিএ ছাড়ার ফলেই তেলুগু দেশমকে রাজনৈতিক খেসারত দিতে হয়েছে। বিজেপি বলছে, এনডিএ ছাড়ার আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী ফোনে কথা বলেছিলেন চন্দ্রবাবুর সঙ্গে। বুঝিয়েছিলেন, তেলুগু দেশম নেতা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু মোদীকে ‘খলনায়ক’ করে রাজ্যে ভাবমূর্তি শোধরাতে নামেন চন্দ্রবাবু। বোঝেননি, হিতে বিপরীতও হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement