ছবি: পিটিআই।
দলের সাংসদদের সামনেও যে কথা খুলে বলেননি, নিজের হাতে তৈরি কয়েক জন যুব নেতার কাছে সেই ‘মনের কথা’ বললেন রাহুল গাঁধী। তাঁর প্রশ্ন, তাঁর ইস্তফার ঘোষণার পরেও কেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক কিংবা রাজ্য সভাপতি হারের দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফা দিলেন না?
যদিও আজ রাতে এআইসিসি-র আইন সেলের চেয়ারম্যান বিবেক তনখা টুইট করে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান এবং অন্য পদাধিকারীদের পদত্যাগের আহ্বান জানান। রাহুলের ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এই প্রথম দলের কাউকে এই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল।
ভোটমুখী হরিয়ানার নেতাদের সঙ্গে আজ নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন রাহুল। সেখানেও রাহুলকে ইস্তফা না দেওয়ার আবেদন করেন নেতারা। কিছু নেতা রাজ্যে ফের বদলের দাবিও জানান। রাহুল তাঁদেরও সাফ জানিয়ে দেন, ইস্তফার অবস্থান থেকে তিনি সরছেন না। নতুন যিনি সভাপতি হবেন, তিনিই রাজ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এর মধ্যেই দিল্লিতে সচিন পাইলটকে নিয়ে আজ জল্পনা বাড়ে। দিল্লিতে এসে গুলাম নবি আজাদ, এ কে অ্যান্টনিদের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। কংগ্রেসের অন্দরের কৌতূহল, রাহুল অনড় থাকলে কি পাইলটকেই সভাপতি করা হবে? না কি রাহুলকে রেখে যে দু’জন কার্যকরী সভাপতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের একজন হবেন পাইলট?
দিগ্বিজয় সিংহ আজ খোলাখুলিই বলেন, ‘‘সত্তর সালের পরে কংগ্রেসে দু’বার বিভাজন হয়েছে। প্রতিবারই কংগ্রেসিরা নেহরু-গাঁধী পরিবারের উপরে ভরসা রেখেছেন। রাহুল ইস্তফার ব্যাপারে অনড় থাকলে তা তাঁর বিবেকের বিষয়। আমি এর সঙ্গে একমত নই। দ্রুত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’’ কংগ্রেসের এক শীর্ষ সূত্র আগেই জানিয়েছিল, রাহুল ইস্তফা দিয়ে দলের বাকি নেতাদের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন। এই সুযোগে তিনি কয়েকজন নেতাকে পদ থেকে সরাতে চাইছেন। সে কাজ না হলে তিনিও না ফেরার জিদ ধরে থাকবেন। রাহুলের ইস্তফা প্রত্যাহারের দাবিতে যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা তাঁর বাড়ির সামনে গতকাল ধর্না দেন। এঁদের মধ্যে কয়েক জনকে সহ-সভাপতি থাকার সময়ে রাহুল নিজের হাতে তৈরি করেছেন। এমন কয়েক জনকে রাহুল বলেছেন, ‘‘দুঃখের বিষয়, আমার ইস্তফার পরেও কোনও মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক কিংবা রাজ্য সভাপতি হারের দায় নিয়ে ইস্তফা দিলেন না!’’