ছবি রয়টার্স।
আগেই বেশ কয়েকটি গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার জীবাণু বায়ুবাহিত। বদ্ধ ঘরে কোনও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে থাকলে সংস্পর্শে না এসেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ওই ঘরে কত জন সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছেন, তার উপর। এমনটাই বলছে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর রিপোর্ট।
আন্তর্জাতিক গবেষণায় জানা গিয়েছিল, বদ্ধ ঘরে সংক্রমিত ব্যক্তির নাক অথবা মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ভাসমান জলকণা বা ড্রপলেটস বাতাসে ১০ মিটারের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ ঘোরাফেরা করে। ওই বাতাস শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করলে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। ভারতে এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম সমীক্ষা চালিয়েছিল সিএসআইআর-ই।
এই সংস্থার একটি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বদ্ধ ঘরে কত জন সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কী কী উপসর্গ রয়েছে, কত ক্ষণ তাঁরা ওই ঘরে থাকছেন, ঘরের আয়তন— এই সব বিষয়ের উপর নির্ভর করে ওই ঘরের বাতাস থেকে সুস্থ ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কত।’
সিএসআইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল শেখর সি মান্দে বলেন, ‘‘বদ্ধ ঘরে হাওয়া বাতাস ঠিক ভাবে চলাচল করতে পারলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। শুধু কোভিড নয়, যে কোনও বায়ুবাহিত জীবাণুর ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। সেই জন্যই ভেন্টিলেশনের বিষয়টি নজরে রাখা ভীষণ জরুরি।’’