সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ছবি: টুইটার।
শুনানির শেষ পর্বে এসে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য আবেদন জানাল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি সরকারের আমলাদের নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে দিল্লি সরকার বনাম উপরাজ্যপালের দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত মামলায় বুধবার এই আর্জি পেশ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সওয়াল পর্ব শেষ করার পরে হঠাৎ এমন আবেদন শুনে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি শুনতে শুরু করেছিল ১০ তারিখ থেকে। প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দিল্লি সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন। সলিসিটর জেনারেল সওয়াল করছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে। দুই পক্ষের সওয়াল শেষ হওয়ার পরে আজকের শুনানি ধার্য ছিল অভিষেকের প্রত্যুত্তর (রিজয়েন্ডার) শোনার জন্য। আজ বেঞ্চ বসতেই তুষার আর্জি জানান, ২০১৮ সালের জিএনসিটিডি (গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি) বনাম কেন্দ্র মামলার রায় রেফারেন্স হিসেবে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হোক। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘আমি রেফারেন্সের আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছি। আমার সওয়ালও করেছি। এখন একটি লিখিত নোট পেশ করতে চাই।’’
বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রেফারেন্সের ব্যাপারে আপনি তো সওয়াল করেননি! আমরা তো প্রত্যুত্তর পর্বে আছি।’’ উত্তরে তুষার দাবি করেন, ডিসেম্বর মাসে তিনি রেফারেন্সের আবেদন জমা দিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, শুনানির চূড়ান্ত পর্বে বিষয়টি তুলতে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নতুন করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণেই রেফারেন্স প্রয়োজন। আমি কোনও পুনরাবৃত্তি করছি না। আমার সওয়ালের মধ্যেই বিষয়টি আছে। আমি শুধু একটা নোট দিতে চাই।’’ প্রধান বিচারপতি উত্তরে বলেন, ‘‘সেটা তো সওয়ালের শুরুতে বলা উচিত ছিল। রেফারেন্সের প্রশ্ন থাকলে আমরা বিষয়টা অন্য ভাবে দেখতাম। রেফারেন্সের কথা আপনার সওয়ালে ছিল না। আপনার সওয়াল শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা ভেবে দেখব।’’
এর পর সিংভি বলা শুরু করতেই তুষার ফের বাধা দিয়ে বলেন, ‘‘আমি প্রধান বিচারপতিকে ফের অনুরোধ করছি। আপনিই আমাকে বলেছিলেন, বিষয়টা সওয়ালের মধ্যে আনতে।’’ প্রধান বিচারপতি জবাব দেন, ‘‘ঠিক এই কথাটা আমিও বলছি। সওয়ালের মধ্যে বিষয়টা থাকা দরকার ছিল। আপনি তা করেননি।’’ তার উত্তরে তুষার বলেন, ‘রেফারেন্স’ শব্দটা না থাকলেও বিষয়টা তাঁর সওয়ালে রয়েছে। সিংভি দাবি করেন, তুষার যে রেফারেন্সের আবেদন জমা করেছেন, সেটা ২০১৮-র রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১-এ যে পুনর্বিবেচনার আর্জি হয়েছে, তারই হুবহু প্রতিলিপি।