স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মৌন মিছিল পটনায়। ছবি: পিটিআই।
দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়ে পাদ্রি স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র। তাদের দাবি, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই স্ট্যান স্বামীকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তাঁর জামিন মঞ্জুর না হওয়ার পিছনেও সঙ্গত কারণ ছিল। এমন গুরুতর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে যে, জামিনের আর্জি খারিজ করতে বাধ্য হয় আদালত।
অসুস্থতার কথা জানানো সত্ত্বেও বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন স্ট্যান স্বামীকে বন্দি করে রাখা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাক স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করলে কাউকে বন্দি করে রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেছে তাদের মানবাধিকার পরিষদ।
তার পরেই মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, আইনানুগ ভাবেই পাদ্রি স্ট্যান স্বামীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এমন কিছু গুরুতর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে, যে আদালতের পক্ষে জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব হয়নি।
স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুকে ‘রাষ্ট্রের হাতে খুন’ বলেও ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বহু মানুষ। অসুস্থ বলে জানানো সত্ত্বেও যে ভাবে তাঁর সঙ্গে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। কিন্তু অরিন্দমের দাবি। ২৮ মে থেকে সবরকম চিকিৎসা পরিষেবাই পাচ্ছিলেন স্ট্যান স্বামী। আদালতও তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছিল। দেশের সরকার এবং বিচারব্যবস্থা সমস্ত নাগরিকের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফাই দেওয়া হলেও, স্ট্যান পাদ্রির মৃত্যু ঘিরে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র প্রধান শরদ পওয়ার-সহ ১০ বিরোধী নেতা-নেত্রী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিয়েছেন। ভুয়ো মামলায় স্ট্যান স্বামীকে যাঁরা ফাঁসিয়েছিলেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।