—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এমপক্স (যাকে আগে বলা হত মাঙ্কিপক্স) নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। এই আবহে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশিকায় জানাল, এমপক্স সংক্রমণের বিষয়টি চিহ্নিত করে নজরদারি চালাতে হবে।
নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে এখন পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। যদিও তার পরেও রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। কেউ সংক্রামিত হলে বা সংক্রামিত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে তাঁকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। সে জন্য হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দেশে কেউ এমপক্সে আক্রান্ত হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখছে দেশের ইন্টিগ্রেটেড ডিজ়িস সাইভেইলেন্স প্রোগ্রাম (আইডিএসপি)। বিমানবন্দরে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে কেউ দেশে আসছেন কি না, সেখানে বোঝা যাবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অধীনে থাকা গবেষণাগারে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছে। বিশেষত যে সব স্বাস্থ্য কর্মীরা ত্বক এবং এসটিডি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িস) চিকিৎসা কেন্দ্রে কাজ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ করার কথা বলা হলেও আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্র হুকে উদ্ধৃত করে এই এমপক্সের লক্ষণগুলিও প্রকাশ করেছে নির্দেশিকায়। ত্বকে র্যাশ, জ্বর হল এই রোগের লক্ষণ। মূলত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সি পুরুষদের মধ্যেই এই রোগ ধরা পড়েছে। সাধারণত, যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই ছড়ায় এই রোগ। তা ছাড়াও এক জনের থেকে অন্য জন সংক্রামিত হতে পারেন।
গত অগস্ট মাসে এই এমপক্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। কিছু দেশে ক্রমে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করা হয়। এমপক্সের নতুন উপজাতিরও হদিস পান বিজ্ঞানীরা, যার নাম ক্লেড ১বি। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতে এমপক্সে আক্রান্ত ৩০ জনের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা এমপক্সের পুরনো প্রজাতিতে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি বিদেশ থেকে ভারতে আসা এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তির রোগ নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে সংক্রমণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মধ্যেই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।