ছবি: সংগৃহীত।
কোভিডের বছরে কেন্দ্রীয় করের ভাগ হিসেবে রাজ্যগুলির প্রাপ্তি ছিল গত পাঁচ বছরে সব থেকে কম। অথচ ওই বছরেই কেন্দ্রের রাজস্ব আদায় হয়েছে সব থেকে বেশি। সোমবার সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম বার কর্পোরেট করের তুলনায় ব্যক্তিগত আয়কর থেকে বেশি আয় হয়েছে।
গত অর্থ বছরের গোড়ায় কোভিডের প্রথম ঢেউ অর্থনীতিতে ধাক্কা দেয়। রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে আরও বেশি অর্থ সাহায্যের জন্য দরবার করেছিল। অর্থ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ সালে কেন্দ্রীয় করের ভাগ হিসেবে রাজ্যগুলি পেয়েছিল ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালের ৬.৫১ লক্ষ কোটি টাকা থেকে কম। অথচ ২০১৮-১৯ সালে রাজ্যগুলি আরও বেশি, ৭.৬১ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছিল। অথচ উল্টো দিকে, কেন্দ্রের নিট রাজস্ব আদায় কোভিডের বছরে ১৪.২৪ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। তার আগের বছরে তা ছিল ১৩.৫৭ লক্ষ কোটি।
অর্থনীতিবিদ দেবেন্দ্র কুমার পন্থের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছে। আবার সেসও বাড়িয়েছে। ফলে রাজ্যগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কেন্দ্রীয় করের পরিমাণ কমেছে। রাজ্যগুলির প্রাপ্তি কমেছে।’’ ২০২০-২১ সালে উৎপাদন শুল্ক থেকে ৩.৯ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তার আগের বছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৩.৪৫ লক্ষ কোটি টাকাই পেট্রল-ডিজেলের শুল্ক থেকে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে কোভিডের ধাক্কার আগেই কেন্দ্র কর্পোরেট করের হার ছাঁটাই করেছিল। কোভিডের বছরে কর্পোরেট সংস্থাগুলির আয় কমে যাওয়ায় কর আদায়ও কমেছে। ফলে কর্পোরেট করের তুলনায় ব্যক্তিগত আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব এসেছে। প্রাথমিক হিসেবে, ২০২০-২১ সালে কর্পোরেট কর আদায় ৪.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে আয়কর থেকে রাজকোষে এসেছে আরও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি।