প্রতীকী ছবি।
দেশে ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন স্ট্রেন। যা চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের। কিন্তু এই আবহেও, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে সম্বন্ধে কেন্দ্রের কোনও ধারণা নেই বলে আজ ফের লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। কেন্দ্র
যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর
সংখ্যা ‘জানে না’, সে জন্য রাজ্যগুলিকেই আজ ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত কাল থেকে শুরু হওয়া করোনা সংক্রান্ত বিতর্ক লোকসভায় প্রায় ১২ ঘণ্টা চলার পরে আজ জবাব দিতে ওঠেন মাণ্ডবিয়া। আলোচনায় অধিকাংশ সাংসদই জানতে চান যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে দেশে কত জন মারা গিয়েছেন। আগামী দিনে এ ধরনের সমস্যা রুখতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চান বিরোধীরা। অধিকাংশ সাংসদের প্রশ্ন ছিল, ওমিক্রন যদি ভারতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনে, তা মোকাবিলায় কি সরকার প্রস্তুত?
আজ জবাবে মূলত রাজ্য সরকারগুলির দিকেই আঙুল তোলেন মাণ্ডবিয়া। তিনি বলেন, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে কত মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছে, তার কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই।’’ কেন নেই, তার ব্যাখ্যায় মাণ্ডবিয়া বলেন, অক্সিজেনের অভাবে রাজ্যগুলিতে কত জন মারা গিয়েছেন তা জানতে তিন বার চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে অন্তত অক্সিজেনের অভাবে এক জনেরও মৃত্যু ঘটেনি।
পঞ্জাবই একমাত্র জানিয়েছিল, সেখানে চার জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া কোনও রাজ্যই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি। মাণ্ডবিয়ার দাবি, রাজ্যগুলি তথ্য না দেওয়ায় কেন্দ্র এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
এ দিকে সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩.৪৬ কোটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৪.৬ লক্ষ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ১.৩৬ শতাংশ মারা গিয়েছেন। এ দেশে প্রতি দশ লক্ষ মানুষে ২৫ হাজার জন আক্রান্ত এবং ৩৪০জন মারা গিয়েছেন বলে জানান মাণ্ডবিয়া। তাঁর দাবি, ওই সংখ্যাটি অধিকাংশ দেশের তুলনায় কম।