ফাইল চিত্র।
সরকারি টিকা কেন্দ্রগুলির উপর চাপ কমাতেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই রাজ্যগুলিকে টিকা সরবরাহের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্যও টিকার মোট উৎপাদনের একটি অংশ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। টিকা নীতি নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের টিকা নীতিতে কোনও গলদ নেই। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলি অনুমানভিত্তিক বলেও দাবি করল কেন্দ্র।
বেসরকারি হাসপাতাল বা টিকাকরণ সংস্থাগুলির জন্য ২৫ শতাংশ টিকা সংরক্ষণ করার নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রের এই উদারনীতি সরকারি ক্ষেত্রে টিকা সরবরাহে প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কেন্দ্রের এই টিকা সরবরাহ নীতির সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রের এই উদারনীতি টিকার সার্বিক সরবরাহকে প্রভাবিত করছে। এর জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘‘বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য ২৫ শতাংশ টিকা সংরক্ষণের কারণ হল দেশবাসীর দ্রুত টিকা পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়ানো। এতে এক দিকে যেমন সরকারি টিকাকেন্দ্রগুলির উপর চাপ কমবে, তেমনই যাঁরা মূল্য দিয়ে টিকা নিতে ইচ্ছুক তারাও বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।’’
সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে বেসরকারি হাসপাতাল বা টিকা কেন্দ্রে টিকা নিতে হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে। শুধু তাই নয়, এই বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে বেশি দামেও টিকা বিক্রি করছে উৎপাদক সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের টিকা নীতির সমালোচনা করতে গিয়ে এই প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়েছিল। করোনা টিকা সরবরাহে কেন্দ্রের নীতিকে বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইটারে লেখেন, ‘করোনার টিকা সরবরাহে বৈষম্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলি মে মাসে ১ কোটি ২০ লক্ষ টিকা পেয়েছে। আর এই টিকা সরবরাহ করা হয়েছে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রেখেই’।