আইনজীবী এল ভিক্টোরিয়া গৌরী। ছবি: সংগৃহীত।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে আইনজীবী এল ভিক্টোরিয়া গৌরীকে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ জন্য আজ তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গৌরীর বিজেপি-যোগ এবং তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ সামনে আসায় নতুন বিচারপতির শপথের আগেই তাঁকে নিয়ে মামলা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি এ মাসের দশ তারিখ থেকে এগিয়ে এনে আগামিকালই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এখন প্রশ্ন হল, সেই শুনানি হবে কখন? কাল সকাল সাড়ে দশটায় শপথ নেওয়ার কথা ভিক্টোরিয়ার। তার আগে সোমবার রাতে শুনািন হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, রাতে শুনানি হবে না। মঙ্গলবার ভোরে শুনানি হতে পারে কি না, ভেবে দেখবেন। অন্য িদকে, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করায় শপথ পিছোনোর আর্জিও জমা পড়েছে মাদ্রাজ হাই কোর্টে।
যাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেই আইনজীবী এল ভিক্টোরিয়া গৌরী মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এখন তাঁকে মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার আগে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-যোগের। মাদ্রাজ হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, গৌরীকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। কারণ, খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
এই সব অভিযোগ সামনে আসায় আজ সকালের দিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি গৌরীর বিষয়টি নিয়ে মামলা শুনবে তারা। এর পর আজই দ্বিতীয় বারের জন্য বিষয়টি শীর্ষ আদালতের সামনে নিয়ে আসেন আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই আইনজীবী ভিক্টোরিয়া গৌরীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিয়েছে। ফলে শীর্ষ আদালতের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তখন জানায়, ভিক্টোরিয়া গৌরীর নামকে ঘিরে কিছু বিষয় সামনে এসেছে। ফলে আগামিকালই মামলার শুনানি হবে। গৌরী-সহ মোট ১১ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের কথা আজ টুইটারে ঘোষণা করেন আইনমন্ত্রী। তারপর শীর্ষ আদালত নতুন করে মামলা শোনার কথা বলায় বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কোনও বিচারপতির শপথ নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরল ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ১৯৯২ সালে গুয়াহাটি হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কে এন শ্রীবাস্তবের নিয়োগ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট।সংবাদ সংস্থা