হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে টহল দিচ্ছেন সেনা জওয়ানরা। ছবি— পিটিআই।
মণিপুরে জাতিগত হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের ১ জনের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বৈঠকের পরেই আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়।
জাতিগত হিংসায় দীর্ণ মণিপুর। সেনা নেমেছে। কিন্তু তা-ও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন শাহ। সোমবার রাতে ৪ দিনের সফরে মণিপুরে পৌঁছন শাহ। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভল্লা এবং আইবির ডিরেক্টর তপনকুমার ডেকা। সূত্রের খবর, সেই রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক চূড়ান্ত করেন শাহ। তার পরেই ঘোষণা।
হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে জিনিসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শাহের বৈঠকে এ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পেট্রল, রান্নার গ্যাস, চাল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের জোগান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে অভাবজনিত মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি ঠেকানো যায়।
এ দিকে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) অনিল চৌহান। পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হতে সময় লাগবে বলেই মনে করেন তিনি। সেনা সর্বাধিনায়ক বলেন, ‘‘আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি এবং তার ফলেই বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মণিপুরের সমস্যা রাতারাতি উবে যাবে না। এটা ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।’’