প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রভাবে দেশে শুধু পর্যটন শিল্পেই ২ থেকে ৫.৫ কোটি কাজ গিয়েছে বলে কবুল করল কেন্দ্র। অবস্থা তথৈবচ বিমান পরিবহণ শিল্পেরও। একই রকম বিবর্ণ ছবি এঁকে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআই-এর পরিসংখ্যান, ১৬ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ফের পৌঁছে গিয়েছে ৯%-এর উপরে। লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগের থেকেও যা বেশি!
সোমবার বৈঠক ছিল পর্যটন, পরিবহণ এবং বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির। সূত্রের খবর, সেখানে পর্যটনসচিব যোগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, অতিমারির আক্রমণে বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্প। শুধু সেখানেই সম্প্রতি কাজ খুইয়েছেন ২ থেকে ৫.৫ কোটি মানুষ। রাজস্ব ক্ষতির অঙ্ক ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। বেকারত্বের এই উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যেই পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে এক সুতোয় গেঁথে যে পরিকাঠামো তৈরি করতে চায় কেন্দ্র, তা আজ পর্যালোচনা করেন মোদী।
নির্দিষ্ট সংখ্যা না-বললেও, বিমান পরিবহণের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছেন ওই মন্ত্রকের সচিব পি এস খরোলাও। সূত্রের খবর— তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে বিমান চলাচল শুরুর পরেও আন্তর্জাতিক উড়ান আপাতত ৫০%-৬০% কমবে। প্রায় অর্ধেক থাকবে দেশের মধ্যে উড়ানের সংখ্যাও। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, বহু সংস্থা অনেক বিমানই বসিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণও বিপুল।
কাজের বাজারের এই বিবর্ণ ছবির প্রতিফলন সিএমআই-এর পরিসংখ্যানেও। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্বের হার ৮.৮৬%। শহরে ৯.৬১%। সাত দিন আগে, ৯ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহেও যা ছিল যথাক্রমে ৮.৩৭% ও ৯.৩১%। ফলে এই সাত দিনের ব্যবধানে দেশে সার্বিক বেকারত্বের হারও ৮.৬৭% থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.১%। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে বেকারত্বের এই হার ওই দু’মাসের (এপ্রিল ও মে) তুলনায় অনেকখানি কমে এলেও, সম্প্রতি ফের তা ঊর্ধ্বমুখী। লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে ২২ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার যেখানে ৮.৪১% ছিল, সেখানে এখন লকডাউন শিথিলের এত দিন পরে তা ৯%-এর উপরে। যা কেন্দ্রের পক্ষে স্বস্তির নয় বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।