Manish Sisodia

সমস্যা বাড়ল সিসৌদিয়ার, গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের অনুমতি শাহের মন্ত্রকের

অভিযোগ, ২০১৬-এর ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফিডব্যাক ইউনিট বিরোধীদের উপর নজরদারি চালায়। শুধু বিজেপিই নয়, এই ইউনিট আপের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উপরও নজর রাখত বলে সিবিআইয়ের দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩০
Share:

নয়া বিপাকে পড়লেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। — ফাইল ছবি।

দিল্লির বিতর্কিত আবগারি দুর্নীতি নিয়ে চাপের মধ্যেই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেল দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কেজরীওয়াল ঘনিষ্ঠ মণীশ সিসৌদিয়ার। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিবিআইকে ‘ফিডব্যাক ইউনিট’-এর মাধ্যমে গোয়েন্দাগিরি করানোয় সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী মামলা নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে সিবিআই ‘ফিডব্যাক ইউনিট’-এর বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করানোর অনুমতি চেয়েছিল।

Advertisement

২০১৫-য় দিল্লি সরকার তৈরি করেছিল ‘ফিডব্যাক ইউনিট’। অভিযোগ, ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ইউনিট বিরোধীদের উপর গোয়েন্দাগিরি চালায়। শুধু বিজেপিই নয়, এই ইউনিট থেকে আপের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উপরও নজর রাখা হতো বলে সিবিআইয়ের দাবি। এই ইউনিট তৈরির আগে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছ থেকে কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

সিবিআইয়ের দাবি, কেজরীওয়াল সরকারের তৈরি করা ‘ফিডব্যাক ইউনিট‌’ রাজনৈতিক নেতাদের উপর গোয়েন্দাগিরি এবং নজরদারি চালিয়ে গিয়েছে। এ বছর ১২ জানুয়ারি সিবিআই একটি রিপোর্ট তৈরি করে। যেখানে দুর্নীতির অভিযোগে সিসৌদিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে। এলজি ভিকে সাক্সেনা পত্রপাঠ সেই অনুমতি দিয়ে দেন। এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইকে।

Advertisement

দিল্লির নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে আপ। দিল্লিতে মদ বিক্রির যাবতীয় দায় ও দায়িত্ব সরকারের ঘাড়ে। নয়া আবগারি নীতিতে এই অবস্থান পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল। বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল মদ বিক্রির ব্যবস্থাকে। কিন্তু নয়া নীতিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন এলজি। চাপের মুখে প্রত্যাহার করা হয় নয়া আবগারি নীতি। এই মামলাতে সিসৌদিয়াকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গত রবিবারও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যদিও বাজেট তৈরিতে ব্যস্ততার কথা বলে আরও অতিরিক্ত এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন সিসৌদিয়া। সিবিআই তা মঞ্জুরও করে। এর মধ্যেই জানা গেল, নতুন এক মামলায় সেই সিবিআই তদন্তের মুখেই পড়তে চলেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement