প্রতীকী চিত্র।
লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন (এলটিসি) ভাউচার প্রকল্পের সুবিধা পেতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা একাধিক বিল জমা দিতে পারবেন বলে জানাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তবে সেই বিল সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নামেই হতে হবে।
উৎসবের মরসুমে কেনাকাটা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এলটিসি-র সুবিধাকে নতুন ভাবে সাজিয়েছে কেন্দ্র। গত ১২ অক্টোবর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, দেশের যে কোনও জায়গায় বেড়াতে গেলে বেতনক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে বিমান ভাড়া বা ট্রেনের টিকিটের খরচ মিটিয়ে দেওয়া তো হবেই, সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ডিএ-সহ ১০ দিনের ছুটির টাকাও।
আবার করোনার জন্য যাঁরা বেড়াতে যেতে পারেননি, তাঁরা পণ্য ও পরিষেবা কিনলেও সে টাকা ফেরত পাবেন। তবে তার জিএসটি ১২% বা তার বেশি হতে হবে এবং দাম মেটাতে হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। কেন্দ্রের আশা, এতে জিএসটি সংগ্রহও বাড়বে।
এই প্রকল্পেরই কয়েকটি বিষয় আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রকল্পের সুবিধা পেতে কর্মচারীর নামে একাধিক বিল জমা দেওয়া যাবে। তবে সেই কেনাকাটা করতে হবে আগামী মার্চের মধ্যে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এলটিসি-র পুরো অর্থ যাঁরা খরচ করতে পারেননি তাঁরা অবশিষ্ট অর্থ দাবি করার জন্য ঘোষিত প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। তবে অর্থবর্ষের শেষের দিকের চাপ এবং হিসেবের জটিলতা কমাতে আগামী ১ মার্চের মধ্যে বিল জমা
দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।