প্রতীকী চিত্র।
পেঁয়াজের চড়া দরের ঝাঁঝে চোখে জল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে তার মজুতদারিতে রাশ টানার রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হল কেন্দ্র। শুক্রবার উপভোক্তা, খাদ্য এবং গণবণ্টন মন্ত্রকের ঘোষণা, এ দিন (২৩ অক্টোবর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের যথেচ্ছ মজুতদারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তারা। এই সময়ের মধ্যে ২৫ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন পাইকারি বিক্রেতারা। খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে তা ২ টন। এ ছাড়া, দাম কমাতে সরকারি গুদাম থেকে পেঁয়াজ বাজারে আনা হচ্ছে বলেও তাদের দাবি।
বিরোধীদের বক্তব্য, খাবার পাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম এমন মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কা থেকেই কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁরা। যে আইনের অন্যতম অংশ হল অত্যাবশ্যক পণ্য মজুতের আইনে সংশোধন। নতুন আইনে তা মজুতে বাধা থাকবে না। সরকার হস্তক্ষেপ করবে একমাত্র দর আকাশছোঁয়া হলে। এতে আমজনতার দুর্ভোগ বাড়বে বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত হিসেবে দেশে পেঁয়াজের গড় খুচরো দর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২.১২%। গত পাঁচ বছরের গড় দামের তুলনায় তা ১১৪.৯৬% বেশি। নতুন অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে বলাই রয়েছে দ্বিতীয় হিসেবে দর বৃদ্ধি ১০০% ছাড়ালেই হস্তক্ষেপ করবে সরকার। সেই অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: জঙ্গলরাজ বনাম পরিযায়ী শ্রমিক
কেন্দ্রের মতে, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্যগুলিতে অতিবৃষ্টির কারণে মার খেয়েছে পেঁয়াজ চাষ। এর পরে খরিফ মরসুমের ৩৭ লক্ষ টন পেঁয়াজ মান্ডিতে পৌঁছলে, ফের কমতে শুরু করবে দাম। বিরোধীদের কটাক্ষ, খোলা বাজারে বিক্রির কথা ফলাও করে বলে দর কমাতে তাহলে সেই মান্ডিতে বিক্রি হওয়া ফসলের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে?