প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রেমডেসিভিয়ার, ফ্যাবি ফ্লু জাতীয় ওষুধের ঘাটতির সাক্ষী থেকেছে দেশ। কয়েকশো গুণ বেশি দামে রেমডেসিভিয়ার কালোবাজার থেকে কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন বহু মানুষ। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতি দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আনতে পারে বলে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তাই আজ সব রাজ্যকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এমন আটটি ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করে রাখার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।
আজ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ওমিক্রন প্রজাতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে বলেছেন। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পরিবর্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বৃদ্ধির উপরে জোর দেন তিনি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ম মাফিক পরীক্ষা ও পজ়িটিভ নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সে পাঠানোয় যাতে কোনও গা-ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, তার উপরে জোর দেন রাজেশ ভূষণ। বৈঠকে অতীতের কালোবাজারির কথা মনে করিয়ে করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়, এমন আটটি ওষুধ রাজ্যগুলিকে মজুত রাখতে বলা হয়। সংক্রমণের হটস্পট বা ক্লাস্টারে আরও বেশি পরীক্ষা, নজরদারি, বাড়ি বাড়ি ঘুরে টিকাকরণে গতি আনতেও বলে কেন্দ্র।
করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য করেছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের অভিযোগ, সে সব প্রকল্পে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেরও অর্থ দেওয়ার কথা। সেই অর্থ দিচ্ছে না রাজ্যগুলি। তার ফলে প্রকল্পগুলির কাজ মাঝপথে আটকে রয়েছে।
এ ধরনের স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলিতে দ্রুত নিজের অংশের অর্থ দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বৈঠকে আরও বলা হয়, একাধিক রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে পিএম কেয়ার্স প্রকল্পের টাকায় ভেন্টিলেটর পাঠানো হলেও সেগুলি এখনও খুলেই দেখেনি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলি। ফলে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ভেন্টিলেটরগুলি। বৈঠকে এর জন্য রাজ্যগুলিকেই দায়ী করেছে কেন্দ্র।