—প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে আরও খারাপ হতে পারে বাতাসের মান। তাই সব রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও হাসপাতালগুলিকে সতর্ক থাকতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সাম্প্রতিক এক নির্দেশিকায় মন্ত্রক জানিয়েছে, ভোরে বাইরে খেলাধুলো বা হাঁটা আপাতত নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। পেশার প্রয়োজনে যাঁরা দীর্ঘ সময় বাইরে থাকেন সতর্ক থাকতে হবে তাঁদেরও। যেমন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই বায়ুর মান সংক্রান্ত সূচকে খারাপ ফল দেখা গিয়েছে। উৎসবের মরসুম ও শীতের আবির্ভাবের ফলে বায়ুর মান আরও খারাপ হতে পারে।
মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘বায়ুর মান বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বিশেষত শ্বাসকষ্টের মতো রোগের ক্ষেত্রে বায়ুর মানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় ধরে দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে থাকলে অসময়ে মৃত্যুও হতে পারে।’’
রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় প্রচার বাড়াতে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা মজবুত করতে ও বায়ুর মানের উপরে নজরদারি ব্যবস্থায় যোগ দিতে বলেছে মন্ত্রক। ফসলের গোড়া পোড়ানো, ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার ও ডিজ়েল-চালিত জেনারেটরের উপরে নির্ভরতা কমানোর মতো বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
সেই সঙ্গে নাগরিকদের সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে বায়ুর মানের উপরে নজর রাখতে, জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলতে ও বাড়ির প্রয়োজনের জন্য তুলনামূলক ভাবে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। দিল্লি সরকার আগেই বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আজ সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, গত কাল থেকে তিনি সকালে হাঁটা বন্ধ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আমার চিকিৎসক সকালে হাঁটা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হতে পারে। আমি সাধারণত ভোর চারটে-সাড়ে চারটে নাগাদ হাঁটতে যাই।’’