ফাইল চিত্র।
ভারতে ‘হিসেব বহির্ভূত’ করোনা-মৃত্যু নিয়ে আমেরিকান সংস্থার রিপোর্ট আজ খারিজ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, রিপোর্টটি তথ্যনির্ভর নয় এবং সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট’ কাল দাবি করে গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। যেখানে কেন্দ্র হিসেব দিয়েছে মাত্র ৪.১৮ লক্ষের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ পাল্টা জানিয়েছে, দেশে যে ভাবে কড়া ও আইনসম্মত পদ্ধতিতে মৃত্যু নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় তাতে এত জনের মৃত্যু নথিভুক্ত না হওয়াটা অস্বাভাবিক। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকান সংস্থার রিপোর্টটিতে ওই নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে হওয়া সব ধরনের মৃত্যুকেই কোভিড-মৃত্যু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। সব মৃত্যুকেই করোনা-মৃত্যুর পরিসংখ্যানে জুড়ে দেওয়া বিভ্রান্তিকর।’’
সম্প্রতি রাজ্যসভায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, অক্সিজেনের অভাবে কত করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা তাদের ‘অজানা’। এ নিয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেন্দ্র যা জানাচ্ছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা। কত মানুষ মারা গিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে কত মৃতদেহ ভাসানো হয়েছে—এর তথ্য আছে কেন্দ্রের কাছে! তৃতীয় ঢেউ সামলাতে কী হচ্ছে, কত ওষুধ বা টিকা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হচ্ছে, মানুষ তা জানতে চায়। মিথ্যা বললে মিটে যায়!’’
গত কালের তুলনায় কিছুটা কমে আজ ভারতে ৪১ হাজার ৩৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পজ়িটিভিটির হারও (প্রতি ১০০ জনে কত জন পজ়িটিভ) কমছে প্রতিদিন। টানা ৩১ দিন সেই হার রয়েছে ৫ শতাংশের নীচে। দেশে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ভারতীয়দের সফরে কড়াকড়ি শিথিল করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বছর এপ্রিল থেকে মে-র মধ্যে করোনায় বাবা-মাকে হারিয়েছে ৬৪৫ শিশু। এই শিশুদের সিংহভাগই উত্তরপ্রদেশের। তার পরে অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের শিশুরা।