কর্নাটকের ‘ভুল’ শোধরাতে আলোচনায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকে বিজেপির শোচনীয় হারের অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে সে রাজ্যের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা। সেই ‘ভুল’ যাতে অন্যত্র না হয়, সে জন্য ২১ মে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রদেশ কার্যকারিণীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী সরকারের ন’বছর পূর্তি উপলক্ষে জনসংযোগ কর্মসূচি রূপায়ণ, পঞ্চায়েত ও লোকসভার প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা আছে।
২১ মে কলকাতায় ওই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন পদাধিকারী ছাড়াও দিল্লি থেকে যোগ দিতে আসার কথা সুনীল বনশল, অমিত মালব্য, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লকড়ার মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের। সূত্রের মতে, কর্নাটকে বিজেপির হারের পিছনে দলের অন্তর্কলহ একটি বড় কারণ হিসাবে উঠে এসেছে। আগামী দিনে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে যাতে দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নামে, সেই বিষয়টির উপরে জোর দিতে চলেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি, স্থানীয় সমস্যাকে কী ভাবে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে তুলে আনা সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘কর্নাটকে স্থানীয় নেতৃত্বকে কার্যত গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। যা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতে আগামী দিনে স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও প্রাধান্য দেওয়া, তাঁদের সমস্যার সমাধান করা, অন্তর্কলহকে ঠেকিয়ে দলের সবাইকে নিয়ে এগোনো যাতে সম্ভব হয়, তা মাথায় রাখা হচ্ছে।’’
চলতি মাসে মোদী সরকারের ন’বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই উপলক্ষে এক মাস ব্যাপী জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে দল। বঙ্গে সেই যাত্রার রূপরেখা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে। এ ছাড়া জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছনোর প্রশ্নে দল কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। বিশেষ করে গত ন’বছরে সরকারের সাফল্যের দিকগুলি, যেমন জনধন অ্যাকাউন্ট, কোভিডের সময়ে বিনামূল্যে খাবার ও প্রতিষেধক দেওয়া, রাম মন্দির নির্মাণ, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলি জনতার সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে চলা বুথ পর্যায়ে দলের কমিটি তৈরির কাজ কতটা এগিয়েছে, তা নিয়েও পর্যালোচনা হবে বৈঠকে।