—প্রতীকী ছবি।
গরিবের জ্বালানি কেরোসিনের উপর ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, এর ফলে দেশের বহু মানুষের সমস্যা হবে।
এখনও দেশের গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে রেশন দোকানে কেরোসিন বিক্রি করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ভর্তুকি খাতে এক টাকাও বরাদ্দ করেনি দিল্লি। ২০১০-তে পেট্রল, ২০১৪-তে ডিজেলের দামের উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছিল সরকার। বিনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ওঠা-নামার উপরে এখন পেট্রল-ডিজেলের দাম নির্ধারিত হয়। কিন্তু কেরোসিনের ক্ষেত্রে সরকার এতদিন ভর্তুকি বজায় রেখেছিল। আগামী মে মাস থেকে তাও পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে। এখন কেবলমাত্র রান্না গ্যাসের উপর ভর্তুকি বজায় রেখেছে দিল্লি। অবশ্য তাও গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ থেকে প্রতি পক্ষকালে লিটার পিছু ২৫ পয়সা করে কেরোসিনের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়িয়ে গিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। চার বছরে মুম্বইয়ে কেরোসিনের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ২৩.৮ টাকা। রাজ্যে এখন প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম হয়েছে ৩৬.১২ টাকা। এখন থেকে কেরোসিনের দামও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওঠা-নামার উপরে নির্ভর করবে বলে জানানো হয়েছে। ২০২০র মে’তে কেরোসিনের দাম ১৩.৯৬ টাকা থাকলেও এখন দাম বেড়ে চলেছে। জানুয়ারিতে প্রতি লিটার দাম বেড়েছে ৩.৮৭ টাকা।