উপভোক্তার আঙুলের ছাপ ও আধার ওটিপি-জনিত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী কেন্দ্র। ছবি সংগৃহীত।
আঙুলের ছাপ না মিললেও চলবে। দরকার হবে না আধার লিঙ্ক ওটিপি-র। রেশন পরিষেবা নিশ্চিত করতে যে সব উপভোক্তার আঙুলের ছাপ ও আধার ওটিপি-জনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কেবল আধার নম্বরের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দেওয়া শুরুর বিষয়ে নীতিগত ভাবে রাজি হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করবে কেন্দ্র।
রেশন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চালু হয়েছিল ফিঙ্গারপ্রিন্ট(আঙুলের চাপ) ব্যবস্থা। আধার কার্ডের নম্বর ও আঙুলের ছাপের ভিত্তিতে রেশন পাওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিল সরকার। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ উঠছিল। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আধার নম্বরের ভিত্তিতে মোবাইলে ওটিপি পাঠানোর উপায় থাকলেও, বহু ক্ষেত্রেই নানা কারণে ব্যর্থ হচ্ছিল ওই ব্যবস্থাও। ফলে যোগ্য উপভোক্তারা রেশন পাচ্ছিলেন না। আজ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার অ্যাসেসিয়েশনের সদস্যেরা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘আঙুলের ছাপ না মেলা একটি সমস্যা। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আধারের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরের সংযুক্তিকরণ করা থাকে, সেখানে ওটিপি পাঠানো হয়ে থাকে। কিন্তু বহু মানুষ রয়েছেন যাঁদের আধারের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরের সংযুক্তিকরণ করেছিলেন সেই নম্বর বা সিমকার্ড তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে তাঁদের মোবাইলে ওটিপি পাঠানো সম্ভব হয় না। তাই যাঁদের আঙুলের ছাপ ও ওটিপিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এ বার থেকে আধার নম্বরের ভিত্তিতে রেশন দেওয়া হবে।’’ তবে যে সব রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল যন্ত্র রয়েছে, সে সব দোকানেই আধার নম্বরের ভিত্তিতে রেশন পাওয়া যাবে। সংগঠনের দাবি, যে সব দোকানে ওই যন্ত্র নেই, সেখানেও তা বসানোর কাজ শুরু গিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অধিকাংশ দোকানে তা সম্পূর্ণ হবে।