ফাইল চিত্র।
জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১.৬ কোটি। কিন্তু আজ পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ৪৪.৫৮ কোটি। লক্ষ্যপূরণে প্রায় সাত কোটির ব্যবধান। তবুও কেন্দ্রের দাবি, এখনও অনেক রাজ্যে প্রতিষেধক পাঠানো হচ্ছে। অতএব, অনায়াসে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে সরকার।
টিকাকরণ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছে, যথেষ্ট সংখ্যায় প্রতিষেধকের জোগান দিতে পারছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। যা নিয়ে কেন্দ্র যথেষ্ট অস্বস্তিতে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সংসদে স্বীকার করেছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিষেধক দেওয়া যাবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারার প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসছে টিকার অভাব। সূত্রের মতে, মূলত, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা কাঙ্ক্ষিত কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক পাঠাতে পারছে না। যার ফলে রাজ্যগুলিকে টিকা পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারছে না কেন্দ্র। বিদেশ থেকেও প্রতিষেধক আসছে না। ফলে টিকা চেয়েও পাচ্ছে না রাজ্যগুলি। আজ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে টিকার ঘাটতি নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যগুলিকে কম প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ মানতে চান না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। জুলাইয়ে টিকাকরণের লক্ষ্য না ছুঁতে পারার অভিযোগও খারিজ করছেন তাঁরা। সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে আজ কেন্দ্রের দাবি, জুলাই পর্যন্ত ৫১.৬ কোটি প্রতিষেধক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত ৪৪.৫৮ কোটি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বক্তব্য, এ মাসের প্রতিষেধক পাঠানোর কাজ এখনও চলছে। অনেক রাজ্যে আগামী চার দিনে সেই প্রতিষেধক পৌঁছবে। তাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব হবে।
একই সঙ্গে কেন্দ্রের যুক্তি, সরকার কখনই বলেনি জুলাইয়ের মধ্যে ৫১.৬ টিকা দেওয়া হবে। কারণ, রাজ্যগুলি কী গতিতে টিকাকরণ অভিযান চালাবে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রের লক্ষ্য হল, নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকা জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যগুলিতে পৌঁছে দেওয়া। যা কেন্দ্র সেরে ফেলতে পারবে। শুধু জুলাইয়েই নয়, অগস্টেও লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী মাসে অন্তত ১৫ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।’’