কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামা কৃষকদের কত জনের মৃত্যু হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। ফলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রশ্ন নেই বলে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর আজ সংসদে একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন।
কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দিল্লির সীমানায় মাসের পর মাস অবস্থান করছেন কৃষকেরা। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আন্দোলনে একের পর এক কৃষকের মৃত্যুর খবর আসছে। সংসদে কৃষিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যু সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার অবহিত কিনা। তিনি জবাব দিয়েছেন, ‘‘এই ধরনের কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই।’’ কৃষকদের টানা আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরব হয়েছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সরকার জানিয়েছে, মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য না থাকায় ক্ষতিপূরণের কথা বিবেচনা করার প্রশ্নই উঠছে না। তবে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কৃষক নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছিল, শীতের সময়ে, বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’ অর্থাৎ, আন্দোলনরত কৃষকদের স্বাস্থ্যের দিকে সরকারের যে নজর রয়েছে, সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন কৃষিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক সরকারের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা যে হেতু রাজ্যের তালিকাভুক্ত বিষয়, তাই এই ধরনের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও তথ্য রাখে না।
তবে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি বড় জায়গা করে নিতে চলেছে। অকালি দল ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, আন্দোলন চলাকালীন প্রায় সাড়ে পাঁচশো কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। অকালি দল ক্ষমতায় এলে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে, ছেলে মেয়েদের বিনা পয়সায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে। মৃত কৃষকদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ১৯১টি পরিবারকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।