ICDS

মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা কেন্দ্রের

এমনও কিছু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যার মিড-ডে মিলের অর্থ বরাদ্দ সম্পূর্ণ ভাবে নিজেরাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। পিএম পোষণ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দেশক জি বিজয় ভাস্কর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েও দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৪০
Share:

পিএম পোষণ প্রকল্পে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার।

পিএম পোষণ প্রকল্পে এ বার মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর এই বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও, তা কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে, অক্টোবরের ১ তারিখ থেকেই। এই প্রকল্পকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প কার্যকর করতে চায় রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে। এমনও কিছু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যার মিড-ডে মিলের অর্থ বরাদ্দ সম্পূর্ণ ভাবে নিজেরাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। পিএম পোষণ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দেশক জি বিজয় ভাস্কর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েও দিয়েছেন।

Advertisement

উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি ও হিমালয়-লাগোয়া রাজ্য উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরে মিড-ডে মিলের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্র, ১০ শতাংশ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। তবে দিল্লি ও পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল-সহ সব রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৬০ ও ৪০ শতাংশ। আর বিধানসভা নেই, এমন কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের জন্য মিড-ডে মিলের ১০০ শতাংশই বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান বরাদ্দের উপর ৯.৬ শতাংশ হারে এই বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। আগেই এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। আগে এই বরাদ্দ ছিল, ৭ টাকা ৪৫ পয়সা। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর মারফতই এই অর্থ কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।

নতুন এই ঘোষণার পর কোনও রাজ্য সরকার এখনও এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে আমরা খুশি নই। কারণ যেখানে একটি ডিমের দাম ছয় টাকা... আর যে বরাদ্দ হয়েছে তাতে ডিম তো দূর, পুষ্টিকর খাবারও খাওয়ানো যাবে না। আমাদের দাবি, প্রাথমিকের ক্ষেত্রে বরাদ্দ হতে হবে মাথাপিছু ১০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ করতে হবে মাথাপিছু ১২ টাকা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement