Durga Puja 2024

মুম্বইয়ে নজর কেড়েছে কেদারনাথের মণ্ডপ

শহরের মূল চালিকাশক্তি মধ্যবিত্তের মাথায় ছাদ দিতে মুম্বই ছাড়িয়ে গত ১০ বছরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য আবাসন। তেমনই এক ডোম্বিভলির পালাভা সিটি। প্রায় শ’তিনেক বাঙালি পরিবারে সকলেই প্রথম প্রজন্ম মুম্বইয়ের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৪
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বেশ কিছু বছর আগেও মুম্বইয়ের পুজো বলতে মুখার্জি বাড়ির নর্থ বম্বে সর্বজনীন পুজো বা গায়ক অভিজিতের লোখান্ডওয়ালার পুজোর কথাই মুখসই হয়ে থাকত। আজ ছবি বদলেছে সাগর-পারের শহরে। তারকাখচিত পুজোকে দূর থেকে দেখা নয়, নজর কাড়ছে অন্য পুজোগুলোও। যেখানে স্পনসরের রমরমা নেই। রয়েছে সদস্যদের নিজেদেরঅর্থে এক টুকরো বাংলাকে দূর প্রবাসে পাওয়ার আকুতি।

Advertisement

শহরের মূল চালিকাশক্তি মধ্যবিত্তের মাথায় ছাদ দিতে মুম্বই ছাড়িয়ে গত ১০ বছরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য আবাসন। তেমনই এক ডোম্বিভলির পালাভা সিটি। প্রায় শ’তিনেক বাঙালি পরিবারে সকলেই প্রথম প্রজন্ম মুম্বইয়ের বাসিন্দা। বেশির ভাগেরই বাংলায় কাটানো শৈশবের পুজোর স্মৃতি তাজা। সেখান থেকেই পুজোর ভাবনা এখানকার প্রবাসী বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের। সে পুজো এবারে নয় নয় করে ১০ বছরে পড়লো। প্যান্ডেল হোক বা পংক্তিভোজের রাঁধুনি বা পুরোহিত থেকে ঢাকি— বাংলা থেকেই আনিয়ে আয়োজন করেছেন তাঁরা। গগনচুম্বি অট্টালিকার ভিড়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এ বারের ৩০ ফুট উঁচু প্যান্ডেল শৈবতীর্থ কেদারনাথ। ঢুকতেই দরজার সামনে নন্দী বসে। একেবারে একচালার ১৫ ফুট উঁচু সাবেকি প্রতিমা।

তবে সবের মধ্যেও মন খারাপের সুর বাংলার পরিস্থিতির জন্য। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, মায়ের কাছে প্রার্থনা থাকবে রক্ত, মাংসে গড়া উমারা যেন দু’চোখ ভরে বাঁচেন, নিজেদের রঙিন স্বপ্ন নিয়ে। একটা অসুস্থ সমাজের নাশ হয়ে জেগে উঠুক সুস্থ সমাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement