নয়ডার সেক্টর ৭০-এ প্যান ওয়েসিসের দুর্গাৎসব। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতার ঠিক এক বছর আগে শুরু হয়েছিল চাকরি সূত্রে রাজধানীতে আসা বাঙালিদের মেস। এক সঙ্গে থাকা, খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলোর সঙ্গে শুরু হল বাঙালির সংস্কৃতি মেনে দুর্গোৎসবও। আজ সেই দুর্গাপূজা ৫১ বৎসরে পা দিল। আয়োজক বিচিত্রা (পাহাড়গঞ্জ) দুর্গাপূজা সমিতি। দুর্গাপূজার সঙ্গে প্রথা মেনে কোজাগরী লক্ষী পুজো, দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপুজো আর বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোও হয় মহোৎসাহে। দুর্গাপুজোর চার দিন হয় মহাভোজ। অবসরের পরে যাঁরা দিল্লির স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছেন, তাঁরা সবই আসেন এই পুজোয় ছেলে মেয়ে, নাতিনাতনি নিয়ে। স্মৃতিতে ফিরে আসে দিল্লির পুরনো দিন আর সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা।
পূর্ব দিল্লির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পুজো ময়ূরবিহার ফেজ-ওয়ানের মিলনী গত এক দশকের বেশি সময় ধরে থিমের পুজো করে আসছে। এ বছর তাদের পুজো ৩৩ বছরে পা দিয়েছে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। এ বারে উল্লেখ্য, মণ্ডপের একটি দেওয়াল উৎসর্গ করা হয়েছে তিলোত্তমা এবং নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে। স্থানীয় অল্পবয়সী বাসিন্দারা নিজের মনের মতো করে পোস্টার এঁকে লিখে (বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে) প্রতিবাদ করেছে। মাঝে দুর্গার সংহার রূপের চারপাশে ছোট ছোট হাতে আঁকা প্রতিবাদের পতাকা উড়ছে যেন। একজন লিখেছেন, 'তিলোত্তমা তুমি বেঁচে থাকবে আগুন হয়ে।'
নস্টালজিয়ায় মন ডোবাতে প্রবাসী বাঙালিরা দলে দলে যাচ্ছেন প্রাচীন কাশ্মীরি গেটের পুজো দেখতে। আলিপুর রোডের বেঙ্গলি সিনিয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পুজো অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবার। ১৯১০ সালে এটি বারোয়ারি পুজো হিসাবে শুরু হয়েছিল। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজো চিরন্তন, অমলিন। ডাকের সাজের মূর্তি দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। সঙ্গে থাকে বিরিয়ানি আর কাবাবের মন কাড়া গন্ধের স্টল।