ধুবুরির বালুচর, ওয়ার্ড নম্বর ৩-এর পুজো। —নিজস্ব চিত্র।
মহেন্দ্রগঞ্জ ৬১ কিলোমিটার, সোনাহাটি ১২ কিলোমিটার, হিলি ৩০ কিলোমিটার।
ভারতের এ পারে, বাংলাদেশের ও পারে একের পর এক মাইলফলক। তাতে লেখা দূরত্ব। কোনও সীমান্ত মেঘালয়ের, কোনওটা বাংলার সঙ্গে। সামনে পাতা কালো পাড়, সাদা শাড়িতে মায়ের আলতা পরা পায়ের ছাপ। বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতমুখী। মধ্যিখানে দুই মেয়ে, দুই ছেলের হাত ধরে সপরিবার দেশান্তরী এক হিন্দু রমণী। হাতে তাঁর ঢাকেশ্বরীর
দেবীর মূর্তি।
এ ভাবেই দেশভাগের সময় ছিন্নমূল পরিবারদের যাত্রার ছবি সামনে রেখে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদ অসাধারণ মুন্সিয়ানায় ফুটিয়ে তুলেছে ধুবুরির বালুচর, ওয়ার্ড নম্বর ৩-এর পুজো। কমিটির তরফে জনার্দন পাল জানান, ১৯৪৭ সালে ঢাকা থেকে ৯০০ বছরের পুরনো ঢাকেশ্বরী দেবীর মূর্তি কুমোরটুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। মায়ের সেই স্থানান্তর যেন পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের সংগ্রাম, বাস্তুহারা হওয়া আর টিঁকে থাকার লড়াইয়ের প্রতীক। মণ্ডপের প্রাণকেন্দ্রে তাই মা নিজের হাতেই মায়ের মূর্তি বয়ে
নিয়ে চলেছেন।