চলন্ত গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে মহিলাকে। ছবি সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য।
এক মহিলাকে চলন্ত গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। দাম্পত্য কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে। ঘটনাটি মে মাসে ঘটলেও গাড়ি থেকে বউকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সামনে এসেছে বিষয়টি।
গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলা দেওয়া ওই মহিলার নাম আরতি অরুণ। ২০০৮-এ তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অরুণ জুড়ে অমলরাজের সঙ্গে। তবে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক কোনওদিনই মধুর ছিল না। সে জন্য ২০১৪তে আরতি দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ে বাপের বাড়ি ফিরে যান। মুম্বইয়ের আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে মামলাও করেন তিনি।
দীর্ঘ পাঁচ বছর আলাদা থাকার পর সম্প্রতি স্বামীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে আবার বাচ্চাদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন আরতি। এই পুনর্মিলনের পরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শৈলশহর উটিতে ঘুরতে যান তিনি। সেই উটিতে গিয়ে তাঁর জীবন যে আবার দুর্বিষহ হয়ে উঠবে সে কথা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি আরতি। উটিতে গিয়ে ফের তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে পুলিশের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিষয়টি মিটমিট হয়ে যায়। তার পর উটি থেকে ফেরার সময়ই আরতিকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘অবিলম্বে মুক্তি দিন সাংবাদিককে, যোগীর সরকারকে ভর্ত্সনার পর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এই ঘটনার পর বর্তমানে মুম্বইয়ে ফিরে গিয়েছেন আরতি। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা আমাদের খুন করার চক্রান্ত করছে। আমার ছেলে স্কুলের বাইরে তাঁর বাবাকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। ওরা আমার বাচ্চাদেরও নিশানা করেছে।’’
গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনার পর আরতির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরতির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কোয়ম্বত্তূরের এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তরা পলাতক। যদিও আমরা তাদের খোঁজ চালাচ্ছি। তাদের খোঁজ পেতে আমরা বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনেও জানিয়েছি। এক বার তাঁরা ধরা পড়লেই মামলাটি গতি পাবে।’’
আরও পড়ুন: সাইক্লোন বায়ু এগোচ্ছে গুজরাতের দিকে, সতর্ক সেনা, নৌবাহিনী