প্রতীকী চিত্র।
সেই মার্চ থেকে ক্লাস বন্ধ। বাতিল হয়েছে পরীক্ষাও। এ বার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের ভার লাঘব করতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাসেও কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ক্লাস নাইন থেকে টুয়েল্ভ পর্যন্ত বর্তমান পাঠক্রম থেকে অন্তত ৩০ শতাংশ বাদ যাবে বলে জানালেন দফতরের মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। যদিও মূল বিষয়বস্তু বাদ যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল, সেই মার্চ মাস থেকেই বন্ধ স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পঠনপাঠন কার্যত বন্ধ পড়ুয়াদের। অনলাইন ক্লাস চালু হলেও তাতে স্কুলের মতো সিলেবাস ধরে ধরে প্রত্যেক পড়ুয়াকে আলাদা করে দেখভাল করা যায় না বলে মনে করেন বিশেষ়্জ্ঞরা। অনলাইন ক্লাস কার্যত বাড়িতে পড়াশোনার মতো বলেও অনেকের মত। কবে আবার স্কুল খুলবে এবং ক্লাস চালু হবে, সে বিষয়ে কোনও দিশা নেই। সেই কারণেই সিবিএসই-র সিলেবাস কমানোর দাবি উঠছিল নানা মহল থেকে।
এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষালাভের গুরুত্ব বুঝেই পাঠক্রমে মূল বিষয়বস্তুগুলি রেখে থেকে ৩০ শতাংশ কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এই ঘোষণা থেকে শিক্ষাবিদদের ব্যাখ্যা, সিলেবাস থেকে মূল বিষয়বস্তু বাদ পড়বে না। কিন্তু তার ব্যাপ্তি কমবে— তেমনটাই বলতে চেয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করোনায় শিক্ষক স্বামীর মৃত্যু, ২ সন্তানকে কোলে নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ স্ত্রীর
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাস করা বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকা ছাড়তে হবে, জানাল ট্রাম্প সরকার
তবে এই সিদ্ধান্তের আগে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-সহ নানা অংশ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল। ঘোষণার সঙ্গেই ট্যাগ করা অন্য টুইটারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর কয়েক সপ্তাহ আগে সিলেবাস কমানোর বিষয়ে শিক্ষাবিদদের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলাম। আমি আনন্দিত যে, দেড় হাজারেরও বেশি মতামত পেয়েছি।’’ এই ‘অভূতপূর্ব সাড়া’ দেওয়ার জন্য শিক্ষাবিদদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন মন্ত্রী।