প্রতীকী ছবি।
জল্পনা জোরালো হচ্ছিল অনেক দিন থেকেই। করোনা-সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে অবশেষে সিবিএসই স্কুলে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যক্রম (সিলেবাস) এবং সারা বছরে ক্লাসের মোট সময়— দুই’ই কমানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
এ দিনই আইসিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার একটি নির্দেশিকা স্কুল প্রিন্সিপালদের পাঠিয়েছে আইসিএসই বোর্ড। সেখানে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে তাপমাত্রা মাপা, শৌচালয়, ক্লাসঘর জীবাণুমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হবে।
সিবিএসই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নিশঙ্ক টুইটারে লেখেন, “বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের তরফে বহু অনুরোধ আসায় পাঠ্যক্রম আর (সারা বছর) ক্লাসে পড়ানোর মোট সময় কমানোর কথা ভাবনাচিন্তা করছি আমরা।” এ বিষয়ে নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মতামত জানাতে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের অনুরোধ জানান তিনি।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, টুইটে আলাদা ভাবে উল্লেখ না-করলেও এ ক্ষেত্রে স্কুলের পাঠ্যক্রমের কথাই বলেছেন মন্ত্রী। আগামী বার যাঁরা বোর্ডের পরীক্ষা দেবেন অর্থাৎ এ বার যাঁরা দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠেছেন, প্রথমে তাঁদের পাঠ্যক্রম কমানোর সম্ভাবনা। তার পরে সম্ভবত বাকি শ্রেণিরও পাঠ্যক্রম ছাঁটাই হবে। করোনা, লকডাউন, গৃহবন্দিত্ব এবং ক্লাস বন্ধের জেরে প্রবল মানসিক চাপে থাকা পড়ুয়ারা এর জেরে কিছুটা হাঁফ ছাড়তে পারবেন বলে মন্ত্রকের ধারণা।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী
মার্চের শেষ থেকে সারা দেশে সব স্কুল বন্ধ। বহু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস শুরু করলেও তাতে উদ্বেগ কমেনি। কারণ, প্রথমত ডিজিটাল ক্লাসের পরিকাঠামো সব স্কুল ও পড়ুয়ার ঘরে সমান নয়। দ্বিতীয়ত, এত দ্রুত তার পক্ষে ক্লাসরুমের বিকল্প হয়ে ওঠাও অসম্ভব। অথচ করোনা যে হারে বাড়ছে, তাতে তড়িঘড়ি স্কুল খোলাও কঠিন। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরে যাঁরা বোর্ডের পরীক্ষা (দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি) দেবেন, পাঠ্যক্রম শেষ হওয়া নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তা সব থেকে বেশি। উদ্বিগ্ন বাকি শ্রেণির পড়ুয়ারাও।
দশম (শুধু উত্তর-পূর্ব দিল্লির জন্য) এবং দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা ১ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নেওয়া হবে বলে কেন্দ্র জানালেও তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে এসএফআই। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও হয়েছে।