১৪ বছরের পুরনো মামলায় সিবিআই জেরার মুখে লালু। — ফাইল ছবি।
সোমবার স্ত্রী রাবড়ীর পর মঙ্গলবার স্বামী লালুপ্রসাদ। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লিতে তাঁর মেয়ের বাড়িতে হাজির সিবিআই। আরজেডি সাংসদ মিসা ভারতীর বাড়িতেই আপাতত রয়েছেন লালু। সেখানেই লালুকে চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়ার মামলায় (আইআরসিটিসি) অনিয়ম প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবারই লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ঠিক দু’দিন আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতারা চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠির সারমর্ম ছিল, বিরোধীদের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির বেলাগাম প্রয়োগ। অভিযোগ থাকলেও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তেজস্বীর বাবা লালুকে জেরা করতে দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন তেজস্বীও।
সূত্রের খবর, ১৪ বছরের পুরনো চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়ার ঘটনায় লালুকে জেরা করে বিশেষ কিছু তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই। এই মামলায় লালুকে সমনও পাঠানো হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই উদ্দেশেই দোলের দিন সকালে দিল্লিতে লালুর মেয়ে মিসার বাড়িতে হাজির গোয়েন্দারা। বিদেশে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেরার পর থেকে দিল্লিতে মেয়ের বাড়িতেই রয়েছেন লালু। তদন্তকারীরাও সে জন্য মিসার বাড়িতেই লালুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। গত সোমবার লালুর স্ত্রী রাবড়ীর পটনার বাসভবনে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা।