—প্রতীকী ছবি।
বিদেশে লোভনীয় চাকরির টোপ দিয়ে ভারতীয় তরুণদের রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে আজ দেশ জুড়ে অন্তত ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই। তারা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জনকে এ ভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত। আরও কত জন প্রতারিত হয়ে বিদেশের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেছেন, তা বুঝতে তদন্ত চলছে।
একাধিক বেসরকারি ভিসা কনসালটেন্সি সংস্থা, এজেন্ট ও আরও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত কাল মানুষ পাচারের একটি মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এ দিন দিল্লি, তিরুঅনন্তপুরম, মুম্বই, অম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই ও চেন্নাইয়ে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, কিছু সন্দেহজনক নথিপত্র, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন ও সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। কয়েক জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সিবিআই জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে মানুষ পাচারকারীদের একটি সুসংহত চক্র একাধিক রাজ্য জুড়ে কাজ করছে। ইউটিউব চ্যানেল ও বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে যেমন ভারতীয় তরুণদের রাশিয়ায় চাকরির লোভ দেখানো হচ্ছে, তেমনই স্থানীয় এজেন্টরাও এ ক্ষেত্রে জড়িত। অন্য চাকরির বদলে এই যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে। অনেকে সেখানে গিয়ে গুরুতর আহতও হয়েছেন। যদিও শুধু আহতই নয়, রাশিয়ায় চাকরির টোপে পা দিয়ে হায়দরাবাদের মহম্মদ আফসান বা সুরাতের হামিল মাঙ্গুকিয়ার মতো ভারতীয় যুবকেরা মারাও গিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে, সাত ভারতীয় পর্যটককেও জবরদস্তি ঢোকানো হয়েছে রুশ সেনাবাহিনীতে।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে ২০ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনতে তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আরও কত জন এ ভাবে ‘বন্দি’, তা জানা নেই। জনসাধারণকে সিবিআইয়ের হুঁশিয়ারি, তাঁরা যেন এই ধরনের ফাঁদে পা না দেন।