CBI

জুয়া থেকে দু’হাজার কোটির ‘সাম্রাজ্য’! ছিল ইন্টারপোলের ‘নোটিস’, দুবাই থেকে দেশে টেনে আনল সিবিআই

গুজরাতের আমদাবাদের একটি থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তাঁর সন্ধান পেতে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছিল গুজরাত পুলিশ। অভিযুক্তকে খুঁজতে ইন্টারপোল থেকে ‘রেড কর্নার নোটিস’ বার করিয়েছিল সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৯
Share:

প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত দীপককুমার ধীরজলাল থক্কর। ছবি: সংগৃহীত।

আর্থিক জালিয়াতি, প্রতারণা-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত দীপককুমার ধীরজলাল থক্করকে ভারতে ফেরাল সিবিআই। ২০২৩ সালে গুজরাটের আমদাবাদের এক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, আর্থিক জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও বেআইনি জুয়া প্রতিরোধ আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ইন্টারপোল, সিবিআই এবং গুজরাট পুলিশের যৌথ উদ্যোগে রবিবার অভিযুক্তকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনা হয় গুজরাতে।

Advertisement

২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার বেআইনি জুয়ার কারবারের মূল চক্রী তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একটি বিশেষ সফ্‌টঅয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বেআইনি জুয়ার চক্রের টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার করতেন তিনি। অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে তিনি ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা উপার্জন করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল গুজরাত পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন দেশের বাইরে। ভারতের বাইরে থেকেই নিজের চক্র চালাতেন তিনি।

এমন অবস্থায় তদন্তের কাজে সিবিআইয়ের সাহায্য চায় পুলিশ। ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের সঙ্গে অন্য সদস্য দেশের সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গুজরাত পুলিশের অনুরোধের ভিত্তিতে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট থেকে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর থক্করের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি করে সিবিআই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইন্টারপোলের একাধিক রঙের নোটিস রয়েছে। বেগনি, কমলা, সবুজ, কালো, নীল, হলুদ ও লাল। এক এক রঙের নোটিসের অর্থ এক এক ধরনের। যেমন কোনও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান করতে হলুদ নোটিস। নীল নোটিসের অর্থ কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি বা স্থানের বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করা। বেওয়ারিশ লাশের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য কালো নোটিস। ঠিক তেমনই লাল রঙের নোটিসের অর্থ, কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে গ্রেফতার করা।

ইন্টারপোলের সব সদস্য রাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল সেই নোটিস। অভিযুক্ত কোথায় রয়েছেন, তা খুঁজে বার করে গ্রেফতারির চেষ্টা শুরু হয়। সেই সময়েই ইন্টারপোলের কাছে তথ্য আসে, দুবাইয়ে রয়েছেন থক্কর। সেই মতো গুজরাত পুলিশের একটি দল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা দেয় এবং রবিবার অভিযুক্তকে নিয়ে দেশে ফেরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement