প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মানুষখেকো চারটি নেকড়ে ধরা পড়লেও এখনও আতঙ্ক কাটছে না উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। কারণ এখনও অধরা আরও দু’টি নেকড়ে। ফলে যত ক্ষণ না ওই দু’টি নেকড়ে ধরা পড়ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত কেউই স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।
মানুষখেকো নেকড়ের দলকে ধরতে বিশাল আয়োজন করে বন দফতর। নেকড়ে ধরতে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ অভিযানে নামে তারা। প্রথম দিকে স্পষ্ট ছিল না যে, এটি একটি নেকড়ের কাজ, না কি আরও অনেক নেকড়ে রয়েছে সেই দলে। তবে স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী নজরদারি শুরু করে বন দফতর। তখনই তারা জানতে পারে, একা নয়, নেকড়ের একটি দল এই হামলা চালাচ্ছে। অনেক আয়োজন করে চারটি নেকড়ে ধরেছে বন দফতর। কিন্তু এই দলে ছ’টি নেকড়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তারা। ফলে দলের বাকি দুই সদস্যকে ধরতে এখন তারা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
দলে আরও দুই নেকড়ে কথা জানাজানি হতেই বহরাইচে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, রাতের ঘুম উবে গিয়েছে তাঁদের। দলের বাকি দুই নেকড়ে ধরা না পড়া পর্যন্ত কেউ স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না। বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “রাত তখন ১টা ৩০ মিনিট। হঠাৎই আমার ভাইপো চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে আমাদের ঘুম ভেঙে যেতেই নেকড়ে ওকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা চিৎকার করতেই সেটি পালিয়ে যায়।”
নেকড়ের আতঙ্কের মধ্যেই আবার কেউ কেউ দাবি করছেন, তাঁরা বড় আকারের অন্য কোনও প্রাণী দেখেছেন। সেই প্রাণীটি ঠিক কী তা বুঝতে পারেননি। যদিও অন্য কোনও প্রাণীর উপস্থিতির নিয়ে বন দফতর কিছু জানায়নি। তবে দলের বাকি দুই নেকড়ের খোঁজে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এক বানাধিকারিক জানিয়েছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে নেকড়েগুলিকে ধরে ফেলা হবে বলে দাবি তাঁর।
সিসায়া চূড়ামণি গ্রামে ফাঁদ পেতে চারটি নেকড়েকে ধরেছিল বন দফতর। সেই এলাকাতেই ফাঁদ পাতা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। ১৭ জুলাই থেকে বহরাইচের বিভিন্ন এলাকায় নেকড়ের আতঙ্ক ছড়ায়। আট জনের মৃত্যু হয় নেকড়ের হামলায়। আহত হন ২০ জন।