তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিংহ। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিংহের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতারণার মামলা করল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, উত্তরপ্রদেশের ভাদোহিতে কে ডি সিংহ বহু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কে ডি সিংহ ছাড়াও আরও সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, গোটা উত্তরপ্রদেশের মধ্যে এই ভাদোহি আসনটিতেই এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল।
কে ডি সিংহের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ২০০৯ সালে তিনি অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলিটি ও অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ লিমিটেড নামে দু’টি সংস্থা তৈরি করেন। সংস্থাগুলি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে জনগণের থেকে বিনিয়োগ আহ্বান করে। বিনিয়োগকারীরা জমির প্লট পাবেন কিংবা বার্ষিক বিনিয়োগের ১৮ শতাংশ হারে সুদ পাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে হাজারখানেক বিনিয়োগকারীর অভিযোগ, তাঁরা জমি কিংবা বিনিয়োগের টাকায় সুদ— কোনওটাই পাননি। সিবিআইয়ের এফআইআরে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। কি্ন্তু ২০১৮ সালে সংস্থাগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
সিবিআইয়ের এফআইআর ২০২০ সালে ভাদোহি পুলিশের এফআইআরের উপর ভিত্তি করেই করা। আদালতের আদেশের পর যা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা ভাদোহি থানায় বারবার গেলেও এফআইআর করা হয়নি। শেষপর্যন্ত আদালতের দরজায় পৌঁছেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
কে ডি সিংহের সংস্থা দু’টির বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এফআইআর করল সিবিআই। এর আগে ২০২২ সালে আজ়মগড় পুলিশের এফআইআরের উপর ভিত্তি করে কে ডি সিংহ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই সময় সিবিআই অভিযোগ করে, কে ডি সিংহের সংস্থাগুলি বিনিয়োগকারীদের ১০ গুণ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে অনেক বিনিয়োগকারীই টাকা ফেরত পাননি।
ঘটনা হল, একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে কে ডি সিংহের সংস্থার বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত করছে আর এক তদন্তকারী সংস্থা, ইডি। ২০১৮ সালে কলকাতা পুলিশের করা এফআইআরের উপর ভিত্তি করে ইডি কে ডি সিংহ ও তাঁর পুত্র করণদীপ সিংহ ছাড়়াও অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ, অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ ইন্ডিয়া লিমিটেড, অ্যালকেমিস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল।