প্রতীকী ছবি।
ঘুষ নিয়ে বিএসএফের আউট পোস্ট বানানোর বরাত পাইয়ে দেওয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়ল এনপিসিসি এবং এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মোট সাত জন কর্তা। সোমবার সিবিআই তাঁদের গ্রেফতার করে। এনপিসিসির দুই কর্তা ঘুষ নিয়ে বেসরকারি সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিল।
সিবিআই জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত হওয়ায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন এনপিসিসি-র শিলচরের জোনাল ম্যানেজার রাকেশমোহন কোতোয়াল এবং এনপিসিসির জলপাইগুড়ির ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং) লতিফুল পাশা। এ ছাড়াও ওই বেসরকারি সংস্থার অনীশ বৈদ, বিনোদ সিংহ, রমেশ কুমারকে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে আরও দু’জন। তাঁদের মধ্যে সুনীল কুমার হলেন এনপিসিসি-র শিলচরের জোনাল ম্যানেজার রাকেশমোহন কোতোয়ালের আত্মীয় এবং ধর্মেন্দ্র বলে আর একজন গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি আবার সুনীল কুমারের বন্ধু।
সিবিআই সূত্রে খবর, এনপিসিসি-র ওই দুই কর্তা গুয়াহাটির বেসরকারি সংস্থার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চান। শর্ত ছিল এই টাকার বিনিময়ে গুয়াহাটির ওই সংস্থাকে বিএসএফের আউট পোস্ট বানানোর বরাত পাইয়ে দেবে এনপিসিসি।
আরও পড়ুন: কর্নাটক সঙ্কট কাটার সম্ভাবনা, বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত জানাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট
ধৃত এনপিসিসির জোনাল ম্যানেজারের নির্দেশ মতো ২৫ লক্ষ টাকা দিল্লিতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে ফেলেন বেসরকারি সংস্থার কর্তারা। দিল্লিতে এনপিসিসি-র শিলচরের জোনাল ম্যানেজার রাকেশমোহন কোতোয়ালের আত্মীয় সুনীল কুমারের হাতে ওই টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: নেতাদের দেমাকেই গালে পড়ল চড়: বেচারাম মান্না
টাকার হাতবদল যে হতে চলেছে গোপন সূত্রে তা আগেই খবর পেয়ে যান সিবিআইয়ের কর্তারা। হাতেনাতে সুনীল কুমারকে গ্রেফতার করেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একে একে বাকি ৬ জনকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।