ছবি রয়টার্স
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া,সোয়াইন ফ্লুয়ের মতো রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু শিশুর। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, সোয়াইন ফ্লু, টাইফয়েড ছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে বিহার, নয়ডা ও দিল্লি থেকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা-নিউমোনিয়ার মতো রোগও দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এমসের শিশু-চিকিৎসকেরা। এ ছাড়াও স্ক্রাব টাইফাস এবং লেপটোস্পাইরোসিসের মতো ব্যাকটেরিয়া-বাহিত রোগেরও হদিশ মিলেছে উত্তরপ্রদেশে।
অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে শিশুদের মধ্যে ছোঁয়াচে জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে মূলত সদ্যোজাত এবং অপুষ্টিতে ভোগা বাচ্চাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসা হলে অন্য শিশুরা সুস্থ হয়ে উঠছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। আর তা ছাড়া বর্ষার সময়ে প্রত্যেক বছরই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপ দেখা যায় দেশে, বলছেন নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান ভিকে পাল। বৃহস্পতিবারই বিষয়টি উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এই কোভিডের সময়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষার সময়ে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে থাকে। তাই এই সময়ে রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমনোই উচিত। মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করতে হবে আমাদের প্রত্যেককে। আর ময়লা আবর্জনা থেকে যাতে ঘরে মশার বংশবিস্তার না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।’’
বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গির ডি২ রূপের হদিশ মিলেছে, যা ভীষণই ভয়ঙ্কর। বিহারেও প্রত্যেক বছর এই সময়ে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু অন্য বছরের তুলনায় এই বছর ২০ শতাংশ বেশি, জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ২-৭ বছরের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দিল্লিতে। অনেক বছরের তুলনায় তা ৫০ শতাংশ বেশি রাজধানী শহরে।